সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম নির্দেশিকার পরই কড়া ব্যবস্থা রাজ্য প্রশাসনের। সব হাসপাতাল থেকে সরল সিভিক ভলান্টিয়ার। বেসরকারি রক্ষী ও পুলিশ বেশি পরিমাণে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত।
আর জি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। সিবিআই চার্জশিটেও তাকেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সে সিভিক ভলান্টিয়ার। তার বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ থাকলেও কীভাবে নিয়োগ করা হল, তা নিয়ে গত শুনানিতে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী করুণা নন্দী। রাজ্যের লাগাতার সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে আপত্তি তোলেন। বর্ষীয়ান আইনজীবীর দাবি, “যে সিভিক নিয়োগের বিরোধিতা আমরা করেছিলাম, রাজ্য তাদের নিয়োগ কার্যত দ্বিগুণ করে দিয়েছে। অথচ হাই কোর্ট এই নিয়োগ নিয়ে আপত্তি জানায়।” রাজ্য পালটা দাবি করে, ২০০৫ সালের নিয়ম মেনে দেশের সব হাসপাতালে নিয়োগ করা হয়। মহারাষ্ট্রে যে নিয়ম মেনে নিয়োগ হয় কলকাতাতেও একই নিয়মে নিয়োগ হয়। তবে সঞ্জয়কে ২০০৫-এর আইন মেনে নিয়োগ করা হয়নি। পুলিশের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে।
এর পরই প্রধান বিচারপতি জানতে চান, কলকাতা এবং রাজ্যে কত সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছে? আইনজীবী করুণা নন্দী জানান, ১৫১৪ জন। তাঁদের যোগ্যতা কী? কোন বৈধ আইনের ভিত্তিতে তাঁদের নিয়োগ করা হয়? কোথায় কোথায় নিযুক্ত রয়েছেন তাঁরা? দৈনিক নাকি মাসিক বেতন পান? হলফনামা দিয়ে রাজ্যকে জানাতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশ, হাসপাতাল-থানা এবং অপরাধস্থলে সিভিক মোতায়েন করা যাবে না। এই নির্দেশ পূরণ করতে কী কী পদক্ষেপ করছে রাজ্য, তাও হলফনামায় জানাতে হবে। সবমিলিয়ে সিভিক বাহিনী নিয়ে গত শুনানিতে সুপ্রিম তোপের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। আর তার পরই কলকাতার সব হাসপাতাল থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য প্রশাসন।