সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানি চলাকালীন চড়া সুরে কথা বলায় প্রধান বিচারপতির তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন বিজেপি নেতা তথা তরুণ আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। তাঁর আচরণে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি রীতিমতো ধমক দিয়ে তাঁকে চুপ করিয়ে দিলেন। বললেন, ''কন্ঠস্বর নিচে নামান। প্রধান বিচারপতির কথা শুনুন। গলা তুলবেন না।” এর পর অবশ্য কৌস্তভ একেবারেই চুপ করে যান। এনিয়ে বিজেপির আইনজীবী নেতাকে সোশাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
আর জি কর মামলার শুনানিতে এদিন সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল, কর্মবিরতিতে ইতি টেনে কাজে ফিরতেই হবে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় সেই সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে সওয়াল-জবাব চলাকালীন কৌস্তভ কথা বলা শুরু করেন। কলকাতা হাই কোর্টের একটি মামলায় 'পিটিশনার ইন পার্সন' ছিলেন কৌস্তভ বাগচি(Kaustav Bagchi)। তাই আজকের শুনানিতেও তিনি হাজির ছিলেন। এদিন আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সুরক্ষার প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি নেতাকে রীতিমতো চড়া সুরে কথা বলতে শোনা যায়।
[আরও পডুন: অভিনয় ছাড়ছেন দীপিকা! মা হওয়ার পর বড় সিদ্ধান্ত?]
কৌস্তভের এই চিৎকার-চেঁচামেচিতে ক্ষুব্ধ হন প্রধান বিচারপতি। তিনি ধমকের সুরে কৌস্তভকে বলেন, “আপনি কি বাইরের গ্যালারিকে শোনানোর জন্য কথা বলছেন? শেষ ২ ঘণ্টা ধরে আপনার আচরণ দেখছি। কন্ঠস্বর নিচু করুন। প্রধান বিচারপতির কথা শুনুন। গলা তুলবেন না।” প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “মনে রাখবেন আপনি কোথায় দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। তিন বিচারপতির সামনে কথা বলছেন। যাঁরা এই ভিডিওটা দেখছেন, তাঁদেরকে বলছেন না। এত জোরে কথা বলার প্রয়োজন কী?” এর পর তাঁর আরও প্রশ্ন, ''কী চাইছেন? বিচার নাকি এখানে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করতে চাইছেন?''
[আরও পডুন: বিতর্কের কেন্দ্রে ‘IC 814’ সিরিজ, কী বলছেন প্রাক্তন RAW প্রধান?]
বিজেপি নেতার এই আচরণে প্রধান বিচারপতি যে ভূমিকা নিয়েছেন, তাকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল। সোশাল মিডিয়া পোস্টে শাসকদলের প্রতিক্রিয়া, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ-খুনের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম চলাকালীন তার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের পরে, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের, বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচীকে তিরস্কার করার সিদ্ধান্তকে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সোমবার স্বাগত জানিয়েছে। বার বারই কৌস্তভের বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এমনকী এই শীর্ষ আদলতেই তিনি আগেও তিরস্কারের মুখে পড়েছেন। সেবার তাঁর দাঁড়ানোর ভঙ্গি নিয়ে প্রধান বিচারপতি 'সবক' শিখিয়েছিলেন। এবার গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানিতে গলা চড়িয়ে কথা বলায় ধমক খেলেন।