অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে বিজেপির উপর হামলার অভিযোগে উত্তাল লিলুয়া। পুলিশের বিরুদ্ধেও অকারণে গ্রেপ্তারির অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে হাওড়ার (Howrah) জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে পথ অবরোধ এবং পুলিশ কমিশনারের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভও দেখায় বিজেপি। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা লাঠিচার্জও করা হয়।
শনিবার সকালে লিলুয়ার জগদীশপুরের হাইস্কুলের মাঠে ‘গ্রিন হাওড়া, ক্লিন হাওড়া’ কর্মসূচি ছিল বিজেপির। সেই অনুযায়ী ডোমজুড় ২ নম্বর মণ্ডল সভাপতি নীতীশ ঝাঁয়ের নেতৃত্বে ৪ জন গাছ লাগাতে যান। অভিযোগ, সেই সময় জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গোবিন্দ হাজরার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তাঁদের উপর হামলা চালায়। ব্যাপক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। যদিও তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাঁর পালটা দাবি, বিজেপি সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ করছে। কেউ হামলা করেনি। পরিবর্তে তাঁকেই মারধর করা হয়। তাড়া করলে পালিয়ে যায় প্রত্যেকে। এরপর বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা লিলুয়া থানায় অভিযোগ জানাতে যায়। লিলুয়া থানার পুলিশ নীতীশ ঝাঁ, বিনয় আগরওয়াল, নবকুমার দে, অষ্ট নস্কর নামে ৪ জন বিজেপি নেতাকে আটক করে।
[আরও পড়ুন: ‘গরু ও কয়লা পাচারকারীদের হয়ে মুখ্যমন্ত্রী কান্নাকাটি করেন’, CBI তল্লাশি নিয়ে খোঁচা সায়ন্তনের]
তারই প্রতিবাদে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তবে বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর জেলা বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন হাওড়ার পুলিশ কমিশনারের অফিসে ঢুকে পড়ে। তাদের বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলে পুলিশ। তবে তাতে রাজি হননি বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। পুলিশ কমিশনারের দপ্তরে স্মারকলিপিও জমা দেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।