সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে প্রত্যেক রাজ্যবাসীকে অন্তর্ভুক্ত করেছে রাজ্য সরকার। ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) কর্মসূচির মাধ্যমে ওই কার্ড সকলের হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তবে অনেকেই এখনও পাননি কার্ড। নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হয়ে গেলে আর কার্ড দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই তাঁদের জন্য এবার অস্থায়ী স্মার্ট কার্ডের বন্দোবস্ত করা হবে বলেই পুরশুড়ার সভা থেকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। এদিকে, কার্ড প্রত্যাখ্যান করলে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানোর পরামর্শও দিলেন তিনি।
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election 2021)। তার আগে স্বাস্থ্যসাথী-সহ একাধিক প্রকল্পের সুবিধা প্রত্যেক রাজ্যবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি নিয়েছে বাংলার সরকার। যার সাড়াও মিলেছে যথেষ্ট। ইতিমধ্যেই বহু মানুষের হাতেই পৌঁছে গিয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। তবে কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে ফর্ম ফিলআপ করার পরেও সময়মতো কার্ড হাতে এসে পৌঁছয়নি। যার ফলে বিরক্ত অনেকেই। তবে সেই সমস্ত মানুষদের সমস্যা সমাধানে হুগলির পুরশুড়ার সভা মঞ্চ থেকে নয়া ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি জানান, যান্ত্রিক সমস্যার জন্য অনেকেই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির মাধ্যমে এখনও স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের স্মার্ট কার্ড হাতে পাননি। ভোটের আগে তাঁদের হাতে কার্ড পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কেউ না পেলে তাঁদের হাতে অস্থায়ী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই কার্ড দেখিয়েই তাঁরা চিকিৎসা করাতে পারবেন। রাজ্যে বসবাসকারী কাউকেই চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার জন্য দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ‘হাওয়াই চটির দিন শেষ’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের, পালটা জবাব সৌগতর]
কলকাতা হোক কিংবা বিভিন্ন জেলা বহুক্ষেত্রেই শোনা যাচ্ছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে গেলেও রোগী ভরতি নেওয়া হচ্ছে না। সেই অভিযোগ কানে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সোমবারের সভামঞ্চ থেকে আরও একবার সেই সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল (Nursing Home) কর্তৃপক্ষকে সাবধান করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পিছনের দিকে লেখা নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে চিকিৎসা দিতে না চাইলে প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে বিজেপি মিথ্যা প্রচার করছে বলেও অভিযোগ তাঁর। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটের আগে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকে তুরুপের তাসের মতো কাজে লাগাতে চাইছে রাজ্য সরকার। তাই বারবার করে এই প্রকল্প নিয়ে চলছে প্রচার। এবং নেওয়া হচ্ছে নানা ব্যবস্থা।