সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কপ্টার দুর্ঘটনার পর হাঁটুতে চোট লেগেছিল। পরীক্ষানিরীক্ষার পর জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) বাঁ হাঁটুতে চোট লেগেছে, জলও জমেছে। তবে হাসপাতালে ছিলেন না তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শমতো বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। চলছিল ফিজিওথেরাপি। সিটি স্ক্যানের (CT Scan) রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা তাঁর ‘অর্থোস্কোপিক ইন্টারভেনশন’ করা হয়। এসএসকেএম হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দুপুরেই পৌঁছে যান তিনি। আর চিকিৎসার পর সন্ধেবেলা হুইলচেয়ারে চড়ে বেরলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাঃ শান্তনু সেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। ঢুকেই তিনি ইউসিএম বিল্ডিংয়ে গিয়ে সিটি স্ক্যান করান। সেই রিপোর্টে সন্তোষ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন, পেন ম্যানেজমেন্ট ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের প্রধান ডাক্তার রাজেশ প্রামাণিক ও রেডিওলজির প্রধান ডাক্তার অর্চনা সিংয়ের তত্বাবধানে চিকিৎসকদলের অধীনে চিকিৎসা হয়। হাঁটুর যে অংশে জল জমেছে, সেই অংশের চিকিৎসা করে ‘সাইনোভিয়াল ফ্লুইড’ বের করা হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান।
[আরও পড়ুন: ‘৭ বছর হয়ে গেল’, জিতুর সঙ্গে ডিভোর্সের মাঝে অন্য ‘নায়ক’কে নিয়ে ছবি পোস্ট নবনীতার]
এদিন সন্ধেবেলা এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সন্ধের পর দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রীকে হুইলচেয়ারে বসে হাসপাতাল থেকে বেরচ্ছেন তিনি। বাঁ পায়ে প্লাস্টার, গোড়ালিতে ব্যান্ডেজ। সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাক্তার শান্তনু সেন। তাঁকে গাড়িতে তুলে অভিষেকও সেই গাড়িতে উঠলেন। তার আগে অবশ্য মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করেন হাসপাতালের অধিকর্তা ডাঃ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, গত ২৭ জুন কপ্টার দুর্ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর বাঁ পায়ের হাঁটু, লিগামেন্টেও চোট লেগেছে। এদিন তাঁর সার্জিক্যাল প্রসিডিওর হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে থাকার কথা বলেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তিনি বাড়ি ফিরতে চান।
[আরও পড়ুন: কানহাইয়াতেই ভরসা কংগ্রেসের, NSUI-এর দায়িত্ব তরুণ নেতাকে]
মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল। তবে চলাফেরায় বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে কতদিন এই বিধিনিষেধ জারি থাকবে, সে সম্পর্কে এখনও কিছু বলা হয়নি। ফের তাঁকে চেক আপের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান চিকিৎসকরা। এই মুহূর্তে তাঁর বিশ্রামের প্রয়োজনই সবচেয়ে বেশি, তা জানিয়েছেন ডাক্তার শান্তনু সেন।