সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল ছা়ড়লেন নেত্রীর ভূমিকায় ‘অভিমানী’ তাপস রায়। তাঁর অভিমান, বাড়িতে ইডি অভিযান চালালেও দলের তরফে কেউ প্রতিবাদ করেননি। এমনকী, দলনেত্রীও বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেননি। অভিমান উগরে দিয়ে তাপস রায় যখন কলকাতায় দল ছাড়ছেন ঠিক সেই সময় তমলুকের নিমতৌড়ির মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলীয় নেতা-নেত্রীদের বাড়িতে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে’ ইডি হানা নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার সভামঞ্চ থেকে বিজেপি নেতৃত্বকে মমতার তোপ, “ভোটের আগে (তৃণমূল নেতাদের) বাড়িতে-বাড়িতে ইডি-সিবিআই পাঠাচ্ছে। ভয় দেখাচ্ছে। ঘাড় ধরে বিজেপিতে নিয়ে যাচ্ছে। বলছে, বিজেপিতে যোগ দাও, নাহলে ইডি-সিবিআই পাঠাব।” অন্যান্য সভামঞ্চ থেকেও সাধারণত এই তোপ দাগেন। কিন্তু আজকের রাজনৈতিক পরিস্থিতির নিরিখে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ তাঁর এহেন মন্তব্য।
[আরও পড়ুন: ‘মোদিজি ক্ষমা করলেন না’, লোকসভায় টিকিট না পেয়ে অভিমানী সাধ্বী প্রজ্ঞা]
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরেই বাংলায় ‘অতিসক্রিয়’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। কখনও নিয়োগ দুর্নীতি তো কখনও রেশন দুর্নীতি, কখনও কয়লা পাচার তো কখনও গরু পাচার নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে তারা। তৃণমূল বার বার অভিযোগ করেছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই সমস্ত অভিয়ান চালানো হচ্ছে। তদন্তের সূত্র ধরে একের পর এক নেতা-মন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এই আবহে শাসকদলের অনেক নেতা আবার শিবির পরিবর্তনও করেছেন। যা নিয়ে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা দাবি করেছেন, ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচতে দলবদল করেছেন বহু নেতারা। এর মধ্য়ে অন্যতম শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল বার বার দাবি করেছে, নারদ মামলায় প্রকাশ্যে তাঁকে টাকা নিতে দেখা গেলেও তাঁর বিরুদ্ধেও কোনও ব্য়বস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকী, সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিয়ে বার বার সরব হলেও দলত্যাগী তাপস রায় বলছেন, “অন্যান্য দল আমার প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে কিন্তু আমার দল পাশে দাঁড়ায়নি। শাহজাহান ইডির টার্গেট বলে নেত্রী বলছেন, অথচ আমার কথা একটিবারের জন্যও বলেননি।” তাঁর এহেন দাবি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জলঘোলা শুরু হয়েছে।