সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিক্টোরিয়ায় নেতাজির জন্ম জয়ন্তীতে ওঠা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি নিয়ে এবার বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলির পুরশুড়ার জনসভা থেকে একের পর এক উদাহরণ তুলে ধরে মমতার কটাক্ষ, বারবার বাংলাকে অপমান করে চলেছে বিজেপি। যা বাংলার মানুষ কোনওভাবেই মেনে নেবে না।
২৩ জানুয়ারি নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে ভিক্টোরিয়ায় এক মঞ্চে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হলে দর্শকাসন থেকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি ওঠে। যাতে মেজাজ হারান তিনি। প্রতিবাদ স্বরূপ মঞ্চে দাঁড়িয়ে সাফ জানিয়ে দেন, এভাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে অপমান করা উচিত নয়। এটা সরকারি অনুষ্ঠান, কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। তাই এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি কোনও বক্তব্য রাখবেন না। এরপর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন প্রতিক্রিয়া নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সমালোচনা, পালটা সমালোচনার পালার মধ্যেই এদিন জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হুঙ্কার, “কতগুলো উগ্র-ধর্মান্ধ লোক প্রধানমন্ত্রীর সামনেই আমাকে টিপ্পনী করল! এত বড় সাহস! আমার সঙ্গে ভালভাবে কথা বললে আমি সব শুনব। কিন্তু আমায় যদি বন্দুক দেখিয়েছ, আমি তাদের বন্দুকের সিন্দুক দেখাব। কারণ আমি বন্দুকে না, রাজনীতিতে বিশ্বাসী।”
[আরও পড়ুন: পুরশুড়ায় মমতার সভায় ইন্টারনেট বিভ্রাট, ‘ষড়যন্ত্রে’র অভিযোগ তৃণমূলের]
এরপরই অতীতের একাধিক ঘটনার কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাকে ওরা বারবার অপমান করছে। ওরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে। রবীন্দ্রনাথকে অপমান করেছে। কোথায় জন্ম, তাই জানে না। ওরা বিরসা মুণ্ডা বলে অন্য মূর্তির গলায় মালা দিয়েছে। এবার নেতাজিকেও অপমান করেছে। ওরা ‘নেতাজি, নেতাজি’ বলে স্লোগান তুললে আমি স্যালুট করতাম। কিন্তু ওরা কী করল? নেতাজিকে অপমান করল। আমায় অপমান করো, কিছু যায় আসে না। কিন্তু বাংলাকে অপমান করলে তা রাজ্যের মানুষ মেনে নেবে না।”
অতীতেও ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি শুনে মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। নেতাজির জন্মদিনেও তাঁর এহেন প্রতিক্রিয়া সমীচীন নয় বলেই দাবি তুলেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, তিনি নেতাজিকে অপমান করার প্রতিবাদ স্বরূপই কোনও বক্তব্য রাখতে চাননি।