সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতি বছর শহরের বিভিন্ন পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু এ বছর কোভিডের থাবায় বদলে গিয়েছে উৎসবের ধরন। কারণ, পুজোর পরই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন সকলেই। এই পরিস্থিতিতে তাই ভারচুয়াল উদ্বোধনের রাস্তায় হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে সেই সিদ্ধান্তের কথাই জানালেন তিনি। এছাড়া পুজো কমিটিগুলির জন্য আরও একবার কোভিড সতর্কতাও জারি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি পুজোয় সকলকে মাস্ক পরার অনুরোধও জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কোভিডের (Covid-19) কথা মাথায় রেখে ভিড় এড়িয়ে চলার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে উৎসবের মরশুমেও দূরত্ববিধি মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে। তাই সেকথা মাথায় রেখে ধুমধাম করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিলেরই পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো কমিটিগুলিকে পুজোয় নিজেদেরই উদ্বোধন করার কথা বলেছেন তিনি। তবে বিকল্প রাস্তাও বাতলে দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি জানান, যদি কোনও পুজো কমিটি চান তবে নবান্ন থেকে ভারচুয়ালি (Virtually) উদ্বোধন করা যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে পুজো কমিটির সদস্যরা নবান্নে এসে জড়ো হবেন। আর তারপরেই হবে উদ্বোধন। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে একসঙ্গে ভিড় বাড়ানো হবে না। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৫ অক্টোবর উত্তর কলকাতার প্রতিমা, তার পরেরদিন অর্থাৎ ১৬ অক্টোবর বেহালা ও যাদবপুরের পুজো এবং ১৭ অক্টোবর দক্ষিণ কলকাতার প্রতিমার ভারচুয়ালি উদ্বোধন হবে। তবে চেতলা অগ্রণীর পুজো উদ্বোধনে স্বশরীরে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, খুব অল্প সময়ের জন্য মণ্ডপে যাবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: কলকাতা মেডিক্যালে দুর্গাপুজোর আয়োজন, করোনা যুদ্ধে শামিল চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তে জোর বিতর্ক]
এছাড়াও দুর্গাপুজোয় মাস্ক (Mask) ছাড়া কাউকে বেরতে বারণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাঁরা মাস্ক পরে মণ্ডপে আসবেন না তাঁদের ঢুকতে না দেওয়ার কথাই বলেছেন তিনি। এছাড়া পারলে যাঁদের মাস্ক নেই তাঁদের দেওয়ার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মাইকে গানোর পাশাপাশি কোভিড সতর্কতা জারির কথাও বলেছেন তিনি। তবে পুজো হলেও মণ্ডপের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চলতি বছর পুজোয় নবান্নে খোলা হবে কন্ট্রোলরুম। বেশ কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু থাকবে।