সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ক্ষমতা থাকলে জন গণ মন বদলে দেখাক’, কোচবিহার থেকে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিনের জনসভা থেকে কেন্দ্রের একাধিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সুর চড়ান তিনি। আশ্বাস দেন সব পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর পাশে থাকার।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বুধবার কোচবিহারে (Cooch Behar) জনসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি। একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারকে রীতিমতো তুলোধনা করেন। এরপরই ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’ পরিবর্তন ইস্যুতে সরাসরি বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “কেউ বলছে জন গণ মন পালটে দেবে। দেখি কার কত ক্ষমতা! দেখাক জনগণমন পরিবর্তন করে।” এরপরই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান নিয়ে করা পোস্ট প্রসঙ্গেও বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদ্রুপের সুরে বলেন, যারা বিশ্বকবির জন্মস্থান নিয়েই ওয়াকিবহল নয়, তাঁরা নাকি বাংলা দখলে মরিয়া!
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের এমন পরিস্থিতি বাধ্য হয়ে সবাই বোমা ফাটাচ্ছে’, ফের ‘বেসুরো’ বর্ধমান পূর্বের সাংসদ]
উল্লেখ্য, জাতীয় সঙ্গীতে বদলের দাবিতে গত ১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লেখেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর দাবি ছিল, সিন্ধু প্রদেশ যেহেতু এখন আর ভারতের অংশ নয়, তাই জাতীয় সঙ্গীতে ব্যবহৃত ‘সিন্ধু’ শব্দটি ছেটে ফেলতে হবে। স্বামীর মতে, বর্তমান জাতীয় সঙ্গীতের একাধিক শব্দ অনাবশ্যক সংশয় তৈরি করছে। কাকে বা কোন জায়গাকে উদ্দেশ্য করে তা লেখা স্বাধীনতা পরবর্তী প্রেক্ষিতে তা অস্পষ্ট। রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘আসল’ ‘জন গণ মন’র পরিবর্তে বিজেপি সাংসদ ১৯৪৩-এ নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজের গাওয়া ‘শুভ সুখ চ্যান’ গানটি জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করতে অনুরোধ করেছেন। এই বিষয়টি মোটেও ভালভাবে নেয়নি তৃণমূল। প্রথম থেকেই এর তীব্র বিরোধিতা করেছন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।