সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়লা পাচার কাণ্ড নিয়ে নিয়মিত রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করে চলেছে বিজেপি (BJP)। বারবার নিশানা করা হচ্ছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু এবার মোক্ষম অস্ত্র হাতে নিয়ে বিজেপিকে পালটা কাঠগড়ায় তুলল তৃণমূল। সোজা প্রশ্ন তুলে দেওয়া হল খোদ কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে।
কী সেই মোক্ষম অস্ত্র? কয়লা পাচারে (Coal Scam) অভিযুক্ত ‘মাফিয়া’দের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী (Coal Minister) প্রহ্লাদ যোশীর একটি ছবি প্রকাশ করেছে তৃণমূল। যাতে জয়দেব খাঁ নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে এক ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রীকে। এই জয়দেব খাঁর বিরুদ্ধে কয়লা পাচারে যুক্ত থাকার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। অন্ডাল-রানিগঞ্জ-সহ রাজ্যের একাধিক থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের এক হোটেলে কয়লা পাচারের কিংপিনদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন খোদ কয়লামন্ত্রী। জয়দেব খাঁর মতো দাগি মাফিয়ার সঙ্গে কয়লামন্ত্রী কী নিয়ে আলোচনা করলেন? প্রশ্ন তৃণমূলের। কুণালের (Kunal Ghosh) প্রশ্ন,”তাহলে কি এরপর কীভাবে পাচার করা হবে, সেসব নিয়ে আলোচনা করার জন্যই মাফিয়াদের সঙ্গে বৈঠক করছেন কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী?”
[আরও পড়ুন: ভারত জোড়ো যাত্রায় বিধায়ক দিব্যার কপালে চুম্বন রাহুলের! কটাক্ষ বিজেপির, পালটা নেত্রীর]
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সরাসরি দাবি করেছেন, দুর্গাপুরের এই বৈঠককেও অবিলম্বে কয়লা পাচার তদন্তের আওতায় আনতে হবে। তাঁর প্রশ্ন,”এখন ইডি-সিবিআই (CBI) কী করছে? অন্যসময় তো কোনও ঘটনা ঘটলেই অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে যায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী মাফিয়াদের সঙ্গে কী করছেন, সেটা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে না কেন?” কুণালের আশঙ্কা, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি এ বিষয়ে তদন্ত শুরু না করলে তথ্য প্রমাণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
[আরও পড়ুন:একজন মমতা থাকলে এখানেও ‘খেলা হত’, ভোটের আগে গুজরাটে আক্ষেপ বিরোধীদের]
শুধু কুণাল নন, খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ছবিকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। মন্ত্রীর সঙ্গে ‘মাফিয়া’দের বৈঠকের দুটি ছবি টুইট করে তাঁর বক্তব্য, দাগী কয়লা মাফিয়া (Coal Mafia) জয়দেব খাঁর সঙ্গে মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী কী করছেন বুঝতে পারছি না। তিনি কি বিজেপির পকেট ভরার উপায় আলোচনা করছেন? নাকি দেশের সম্পদ পাচার করে দেওয়ায় ওকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন?” অভিষেকের দাবি, “এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) বরাবর ইচ্ছাকৃতভাবে এই মন্ত্রী-মাফিয়া যোগাযোগ উপেক্ষা করে যাচ্ছে।”