shono
Advertisement

হাই কোর্টে কয়লা পাচার মামলা: CBI তদন্তের এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন মূল অভিযুক্ত লালার আইনজীবীর

আগামী ২৭ তারিখ ফের এই মামলার শুনানি।
Posted: 09:12 PM Jan 21, 2021Updated: 09:12 PM Jan 21, 2021

শুভঙ্কর বসু: কয়লা কাণ্ডে অনুপ মাঝি ওরফে লালার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের (CBI) তদন্ত করার এক্তিয়ারই নেই। কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) এমনই দাবি তুললেন লালার আইনজীবী ফারুক রাজ্জাক। তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআর খারিজ এবং সিবিআইয়ের তদন্তের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন লালা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যর এজলাসে মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই এই দাবি তুলেছেন লালার আইনজীবী রাজ্জাক।

Advertisement

এদিনের সওয়াল-জবাবে লালার আইনজীবী আরও দাবি করেছেন, নিছক অপরাধমূলক কাজকর্মে যুক্ত বলে মনে করলেই, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত করা যায় না। এক্ষেত্রে তদন্ত চালিয়ে যেতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনের সম্মতি প্রয়োজন। সিবিআইয়ের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর পাল্টা বলেন, “কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী রেলের এলাকায় যদি কোনও অপরাধমূলক কাজকর্ম সংগঠিত হয়, সেক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত করতে পারে। ইসিএলের এলাকা থেকে বেআইনি কয়লা উত্তোলন এবং কয়লা পাচারের অভিযোগ রয়েছে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।”

[আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে আইনি নোটিস অভিষেকের, বেঁধে দিলেন ক্ষমা চাওয়ার সময়সীমা]

এই বক্তব্যের জবাবে মামলাকারীর আইনজীবী ফের বলেন, “যদি এটাই যুক্তি ধরতে হয়, তাহলে তো দেশের সব জায়গাই রেলের এলাকার মধ্যে পড়ে যাবে।” দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য লালার আইনজীবীর উদ্দেশে প্রশ্ন করেন,”তদন্ত হতে দিন, সমস্যা কোথায়?” আগামী ২৭ জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাই কোর্টে।

প্রসঙ্গত, কয়লা পাচারকাণ্ডে একাধিকবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নোটিস পাঠিয়ে তলব করার পরও লালা হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এদিকে, কয়লা পাচারকারীদের সঙ্গে ইসিএল কর্তাদের সখ্যের একাধিক নমুনা পেয়েছে বলে দাবি সিবিআই আধিকারিকদের। ইসিএলের জায়গায় কয়লা পাচারকারীদের বেআইনি মেশিনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: হাওড়া পুরনিগম থেকে ‘বিয়োগ’ বালি পুরসভার, নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিলমোহর]

সূত্রের খবর, কয়লা পাচারের সঙ্গে বাংলার রাজনীতি মহলের একাধিক রাঘব বোয়াল জড়িত। টাকার ‘গমন পথ’ ধরে সেই আঁতাঁত প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। গোয়েন্দারা মনে করছেন, ইসিএল, সিআইএসএফ ও রেলকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পাচারচক্র চালাত লালা। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকেও সঙ্গে নিয়েছিল সে। তাঁদের মাধ্যমেই বিভিন্ন ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে কোটি কোটি টাকা হাতবদল করেছে লালা ওরফে অনুপ মাজি। ফলে তাকে বাগে আনতে পারলে কয়লা কাণ্ডেক কিনারা সম্ভব বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement