সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারী নির্যাতন, ধর্ষণের মতো ঘটনায় ফের শিরোনামে মধ্যপ্রদেশ। বেতুলের পর এবার ঘটনাস্থল ইন্দোর। এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের (Gangrape) পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক অত্যাচার করা হয়। তারপর তাঁকে বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়া হয় রেললাইনে। বরাতজোরে প্রাণরক্ষা হয় তাঁর। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বছর উনিশের ওই কলেজছাত্রী বেশ কয়েকদিন আগে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তবে মনোমালিন্যের কারণে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। আপাতত সম্পর্ক থেকে সরে এসেছিলেন কলেজছাত্রী। দিনকয়েক আগে তাঁকে প্রাক্তন প্রেমিক নন্দীগ্রামের ফ্ল্যাটে ডেকে পাঠায়। প্রথমে সেখানে যেতে নারাজ ছিলেন। পরে যদিও রাজি হয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন একা প্রাক্তন প্রেমিক নন, ফ্ল্যাটে রয়েছে তার বেশ কয়েকজন বন্ধুবান্ধব। অভিযোগ, ফ্ল্যাটে ঢোকার পর থেকেই কলেজছাত্রীর উপর যৌন নির্যাতন শুরু হয়। প্রাক্তন প্রেমিক-সহ উপস্থিত সকলেই একে একে তাঁকে ধর্ষণ করে। পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দেন কলেজছাত্রী। তাঁকে পালটা হুমকি দেয় ধর্ষণকারীরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের একাধিক অংশে আঘাত করা হয় তাঁকে। তরুণীর গোপনাঙ্গের চোট অত্যন্ত গুরুতর। নিস্তেজ হয়ে পড়লে তরুণীকে একটি বস্তায় ভরে ফেলে অভিযুক্তরা। রেললাইনে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় বস্তাটি। তবে বরাতজোরে বস্তা থেকে বেরিয়ে পড়েন কলেজছাত্রী। প্রাণে বাঁচেন তিনি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার কিনারা করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: বাংলার ভোটের উত্তাপ সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও! নারী নির্যাতন নিয়ে বাকযুদ্ধ তৃণমূল-বিজেপির]
এদিকে, ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর খুনের চেষ্টার ঘটনায় সরগরম বেতুল। অভিযোগ, রাস্তায় একা পেয়ে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের পর জীবন্ত অবস্থায় তাকে মাটির তলায় পুঁতে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়। বেশ কিছুক্ষণ কোনও খোঁজখবর না পেয়ে পরিজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তারা দেখে মাটির তলায় এক ব্যক্তি কিছু একটা পোঁতার কাজ করছে। কাছে এগিয়ে যেতেই ঘটনা জানাজানি হয়। উদ্ধার হয় কিশোরী। প্রাণ বাঁচে তাঁর। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় অস্বস্তিতে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার।