নব্যেন্দু হাজরা: করোনা (Coronavirus) মোকাবিলায় রাজ্যে জারি একাধিক বিধিনিষেধ। তবে জুলাইয়ের শুরুতেই সেক্ষেত্রে বিশেষ কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের রাস্তায় সরকারি ও বেসরকারি বাস চলার কথা। তবে ভাড়াবৃদ্ধির দাবিতে অনড় বেসরকারি বাস কর্তৃপক্ষ। দাবিপূরণ না হওয়ায় রাস্তায় বাস নামাতে নারাজ। সরকারি বাসই ভরসা তাঁদের। তার ফলে বিধিনিষেধে ছাড় মিললেও বাস পেতে রীতিমতো দুর্ভোগের শিকার নিত্যযাত্রীরা।
গত ১৫ জুন থেকেই ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে শুরু হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি অফিসে কাজ। সেই সময় যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন, গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় বেসরকারি সংস্থাগুলিকে কর্মীদের যাতায়াতের বন্দোবস্ত করতে হবে। তবে বহু ক্ষেত্রে কর্মীদের অভিযোগ, যাতায়াতের ব্যবস্থা করেনি সংশ্লিষ্ট সংস্থা। তাই বাধ্য হয়ে বহু গুণ বেশি টাকা খরচ করে অ্যাপ ক্যাবে করেই অফিস পৌঁছতে হয়েছে। করোনা কালে এমনিতেই বহু বেসরকারি সংস্থা বেতনে কোপ দিয়েছে। কর্মহারাও হয়েছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে বেশি টাকা খরচ করে অফিস পৌঁছতে যে যথেষ্ট বিড়ম্বনা, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
[আরও পড়ুন: শৃঙ্খলারক্ষায় কঠোর BJP, বহিষ্কৃত ২ নেতা, সতর্ক করা হল হুগলি জেলার প্রাক্তন সভাপতিকে]
১ জুলাই থেকে রাস্তায় বাস চলার ঘোষণায় তাই যথেষ্ট খুশি হয়েছিলেন নিত্যযাত্রীরা। তবে বৃহস্পতিবার রাস্তায় বেরিয়ে কার্যত বিপরীত ছবি নজরে এল তাঁদের। শ্যামবাজার হোক কিংবা ধর্মতলা বা অফিস যাত্রীদের ভিড়ে ঠাসা মৌলালি সর্বত্রই দেখা নেই বেসরকারি বাসের (Bus)। জেলার রাস্তার ছবিও প্রায় একইরকম। কারণ, হু হু করে পেট্রল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে আগের ভাড়ায় যে বাস চালানো সম্ভব নয় তা আগে বাসমালিক সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়েছিল। তারই যেন বাস্তবায়ন ঘটল এদিন। রাস্তায় সরকারি বাসের দেখা মিলছে। তবে যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, যাত্রী সংখ্যার তুলনায় রাস্তায় চলা সরকারি বাসের সংখ্য অপ্রতুল। তার ফলে নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে পৌঁছনোর জন্য ফের অ্যাপ ক্যাবের উপরেই ভরসা রাখতে হচ্ছে তাঁদের। মাসের শুরুতেই তার ফলে পকেট থেকে বের করতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
এদিকে, বুধবারই ফিরহাদ হাকিম জানান যাত্রী ভোগান্তি দূর করতে রাস্তায় নামানো হবে সমস্ত সরকারি বাস। বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনগুলিকেও রাস্তায় বাস নামানোর আরজি জানান তিনি। যদিও সেই আরজিতে কোনও কাজ হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বাসমালিক সংগঠনগুলির বৈঠকে বসার কথা। ওই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়, সেদিকেই নজর সকলের।