সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুসলিম ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ উঠল যোগগুরু রামদেবের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ বিহারের এক মানবাধিকার কর্মী।
শনিবার রাজস্থানের বারমেরে একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন রামদেব (Baba Ramdev)। সেখানেই মুসলিম সম্প্রদায়কে কাঠগড়ায় তুলে তীব্র আক্রমণ করেন। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ছড়ানো থেকে হিন্দু মহিলাদের অপহরণের অভিযোগ তোলেন। বলে দেন, হিন্দুদের থেকে এধরনের প্রবণতা ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে অনেক বেশি। আর এতেই তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। এই কারণেই যোগগুরুর বিরুদ্ধে বিহারের মুজাফ্ফরপুরের একটি আদালতে রামদেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মী তামান্না হাশমি। তিনি চান, যোগগুরুর বিরুদ্ধে যেন FIR দায়েরের অনুমতি দেওয়া হয়। তামান্না বলছেন, “মুসলিম ও ইসলামের বিরুদ্ধে রামদেবের মন্তব্য একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। এই সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে।’
[আরও পড়ুন: সিকিমের নেপালিরা ‘বিদেশি বংশোদ্ভূত’, সুপ্রিম মন্তব্যে উত্তাল উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য]
তামান্নার আরও দাবি, সাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এধরনের মন্তব্য করেছেন পতঞ্জলি সংস্থার প্রধান। তাঁকে ‘উগ্রপন্থী’ বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তামান্না। ইসলাম ও খ্রিস্ট ধর্মকে খাটো করে হিন্দু ধর্মই সেরা বলে প্রচার করার চেষ্টা করেছেন রামদেব। তাঁর এহেন মন্তব্যে হিংসা আর বিদ্বেষই ছড়িয়ে পড়বে সমাজে, বাড়বে ক্ষোভ। সেই কারণেই তিনি আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তামান্না। আদালতে এই মামলাটির পরবর্তী শুনানি ১৬ ফেব্রুয়ারি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও-ও ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে রামদেবকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমি কারও সমালোচনা করছি না। কিন্তু কিছু মানুষ চায় গোটা বিশ্ব ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীতেই ভরে যাক।” এরপরই যোগ করেন, “সনাতন ধর্ম যোগ অনুসরণ করতে শেখায়। হিংসা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেয়। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে শান্ত মনে ঈশ্বরের স্মরণ করতে শেখায়।” হিন্দু ধর্ম নিয়ে রামদেব যা-ই বলে থাকুন, অন্য ধর্মের লোকেদের ভাবাবেগে আঘাত করা নিয়েই ছড়িয়েছে ক্ষোভ।