সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীতি পঙ্গুত্বে ক্ষতি হচ্ছে দলের। স্পর্শকাতর বিষয়গুলি এড়িয়ে না গিয়ে আরও সোচ্চার হতে হবে। রায়পুরে কংগ্রেসের (Congress) পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে দলের বর্তমান নেতৃত্বের নীতি নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ তথা কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী শশী থারুর (Shashi Tharoor)। তাঁর বক্তব্য, সংখ্যাগুরুদের ভাবাবেগের কথা মাথায় রাখতে গিয়ে স্পর্শকাতর বিষয়ে খোলাখুলি সরকারের সমালোচনা করছে না কংগ্রেস। যা আদপে দলেরই ক্ষতি করছে।
রায়পুরের প্লেনারি সেশনে থারুরের বক্তব্য,”ভারতের সংহতির পক্ষে আমাদের আদর্শগত অবস্থান একদম পরিষ্কার হয়ে যাওয়া উচিত। শুধুমাত্র সংখ্যাগুরুদের ভাবাবেগের কথা ভেবে কিছু কিছু স্পর্শকাতর বিষয় যেভাবে আমরা এড়িয়ে যাচ্ছি বা স্পষ্ট অবস্থান নিতে পারছি না। বা পুরোপুরি সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারছি না, তাতে আসলে বিজেপিরই (BJP) উপকার হচ্ছে।” থারুরের সাফ কথা, আমাদের আরও কঠোর অবস্থান নিতে হবে। বিলকিস বানো (Bilkis Bano) কাণ্ড, গোরক্ষার নামে হত্যাকাণ্ড, গির্জা পুড়িয়ে দেওয়া, এসবের বিরুদ্ধে আরও প্রবলভাবে সরব হওয়া উচিত ছিল নেতৃত্বের।
[আরও পড়ুন: বাসনের দোকানে দাঁড়িয়ে ছবি পোস্ট, সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম কটাক্ষের শিকার শুভশ্রী]
থারুরের বক্তব্য, বিজেপি যেভাবে বেছে বেছে মুসলিমদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিচ্ছে। যে ভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার উপর আঘাত হানছে, তার বিরুদ্ধে দলকে একেবারে স্পষ্টভাবে সোচ্চার হতে হবে। আমাদের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট হওয়া দরকার। কোনওভাবেই আমরা ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে আপস করব না। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে সদ্য সমাপ্ত ভারত জোড়ো যাত্রারও প্রশংসা করেছেন থারুর।
[আরও পড়ুন: রাত বাড়লেই ফ্ল্যাটে ফুর্তির ফোয়ারা, হৈমন্তীর উদ্দাম জীবনযাপনে অতিষ্ঠ ছিলেন পড়শিরা]
তবে দলের আদর্শগত অবস্থান পরিবর্তনের এই দাবি ঘুরিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বকেই প্রশ্নের উপর দাঁড় করাল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কংগ্রেস ‘নরম হিন্দুত্বে’র লাইনে চলছে। যার পৃষ্ঠপোষক খোদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সংখ্যাগুরু হিন্দুদের না চটিয়ে সংখ্যালঘুদের সন্তুষ্ট রাখার একটা চেষ্টা কংগ্রেস করছে। তাতে বিশেষ সাফল্য না এলেও এই নীতিতে অনড় দল। শশী এবার সেটাই বদলানোর দাবি তুললেন।