বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বিজেপিকে রুখতে ভোটের পর তৃণমূলের সঙ্গে জোটের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ করলেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেও অধীর বলে দিলেন, রাজনীতি আসলে সম্ভাবনার শিল্প। ভোটের পর প্রয়োজনে সংযুক্ত মোর্চা এবং তৃণমূলের যৌথ সরকার হওয়া যে পুরোপুরি অসম্ভব নয়, সে ইঙ্গিতও এদিন দিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) সভাপতি।
রাজ্য রাজনীতিতে মমতার তীব্র সমালোচক হিসেবেই পরিচিত অধীর। ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশাপাশি নিয়মিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আক্রমণও শানাচ্ছেন তিনি। এমনকী, বুধবার সাংবাদিক বৈঠকেও মমতাকে রীতিমতো কটাক্ষের তিরে বিদ্ধ করেছেন তিনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে বলতে শোনা গিয়েছে,”মমতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন, যে ভারতবর্ষের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি, বিজেপি বিরোধী রাজনীতি সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং কংগ্রেসকে কেন্দ্র করেই হয়। আর সেটা স্বীকার করছেন বলেই মমতা কংগ্রেসকে চিঠি লিখছেন। কংগ্রেস কিন্তু তাঁকে চিঠি লেখেনি। তার মানে মমতা কংগ্রেসের কাছে রাজনৈতিক হার স্বীকার করেছেন। নৈতিক হার স্বীকার করেছেন এই নির্বাচনে।”
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল হারলে রবি চ্যাটার্জির বিচার আমরা করব’, কাটোয়ার প্রার্থীকে হুমকি বিজেপি সাংসদের]
কিন্তু এরপরই তাৎপর্যপূর্ণভাবে ভোটের পর মমতাকে সমর্থনের প্রশ্নে অধীর বলেন,”কাল্পনিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার এটা সময় নয়। আমরা সংযুক্ত মোর্চা নবান্ন দখলের লক্ষ্যে এগোচ্ছি। সংযুক্ত মোর্চাকে কারা সমর্থন করবেন সেটা তাঁদের ব্যাপার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গেলে কোথায় যাবেন আমরা জানি না। এমনও হতে পারে সংযুক্ত মোর্চা যখন নবান্ন দখল করতে যাচ্ছে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বাঁচার জন্য সংযুক্ত মোর্চার সঙ্গী হলেন। বা সংযুক্ত মোর্চার কাছে আবেদন জানালেন।’” এরপরই অধীরের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘রাজনীতি সম্ভাবনার শিল্প।’ যদিও তৃণমূল বলছে, এমন কোনও সম্ভাবনার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ, তৃণমূল একাই সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনেক বেশি আসন পাবে। এবং অধীরবাবুরা নিজেদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা থেকে একথা বলছেন।