সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্র-সহ উত্তর ভারতের সাত রাজ্যে কৃষকদের চূড়ান্ত বিক্ষোভ সত্ত্বেও হেলদোল নেই প্রশাসনের। না রাজ্য, না কেন্দ্র, কোনও সরকারেই এখনও পর্যন্ত কৃষকদের জন্য কোনও প্যাকেজ ঘোষণা করেনি। উলটে বিক্ষোভ সম্পর্কে ‘অসম্মানজনক’ মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টারের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ।
[নিট পরীক্ষায় খারাপ ফলের জের, বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা ছাত্রের]
এই ‘উপেক্ষা’র প্রতিবাদে এবার পথে নামল কংগ্রেস। প্রকাশ্য রাস্তায় কৃষক বিক্ষোভে শামিল হয়ে নিজেদের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলার দুই কংগ্রেস বিধায়ক। এর আগে কৃষকদের দাবি না মানার প্রতিবাদে মৌনমিছিল করে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। জেলা প্রশাসনকে চূড়ান্ত সময়সীমা দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সময়সীমার মধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফে কৃষকদের স্বস্তি দিতে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এর প্রতিবাদে ধামাগাঁও ও টেওসা কেন্দ্রের দুই বিধায়কের নেতৃত্বে গতকাল বিক্ষোভে শামিল হন। বিক্ষোভ চলাকালীনই নিজেদের গায়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেন বীরেন্দ্র জগতাপ ও যশোমতি ঠাকুর নামের ওই দুই বিধায়ক। পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভের মধ্যে হঠাৎই নিজেদের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেন দু’জন। তার আগেই অবশ্য পুলিশকর্মীরা তাঁদের ধরে ফেলেন এবং তাঁদের আটক করা হয়।
[ভারতীয় সংবিধান এই মুহূর্তে বিপন্ন, মত গোয়ার আর্চবিশপের]
পুলিশের জানিয়েছে, কৃষকে বিক্ষোভে হিংসা ছড়াতে পারে আন্দাজ করে আগে থেকেই বিভিন্ন জায়গায় সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছিল। তাঁদের সচেতনতার জেরেই আত্মহত্যা করতে পারেননি ওই দুই কংগ্রেস বিধায়ক। বেশ কিছুক্ষণ থানায় আটক রাখার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস বিধায়করা জানিয়েছেন, কৃষকদের দাবি না পূরণ হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে আন্দোলনের তীব্রতা। এদিকে, বিজেপির পালটা দাবি, সংবাদমাধ্যমের নজর কাড়তে এই ধরণের পন্থা নিচ্ছে কংগ্রেস। কৃষকদের স্বার্থ নিয়ে আদৌ ভাবিত নয় তাঁরা।
[টানা ৪ বছর প্লাস্টিক ব্যাগে ‘না’, পরিবেশ রক্ষায় নজির এই পরিবারের]
এদিকে পঞ্চম দিনেও অব্যাহত ৭ রাজ্যের কৃষক। আজও উত্তর ভারতের বেশ কিছু এলাকায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। রাস্তায় ছড়ানো হয় শাক সবজি। এর আগেই এই বিক্ষোভের পিছনে কংগ্রেসের মদত আছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক বিজেপি নেতা। কংগ্রেস অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করে। কংগ্রেসের দাবি, ছিল এই বিক্ষোভ স্বতঃপ্রণোদিত, কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।