সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনসিইআরটির সিলেবাস নিয়ে একের পর এক বিতর্কের পর এবার পাঠ্যবই থেকে বাদ পড়তে চলেছে সংবিধানের প্রস্তাবনা! ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT)-এর সিলেবাস থেকে কেন বাদ দেওয়া হল সংবিধানের প্রস্তাবনা? এই প্রশ্ন তুলেই বুধবার লোকসভায় সরব হয়ে উঠলেন কেরলের কংগ্রেস সাংসদ শফি পারাম্বিল।
গত মঙ্গলবার একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল এনসিইআরটির ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে সংবিধানের প্রস্তাবনা বাদ পড়তে চলেছে। যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। যদিও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তাতে অবশ্য বিতর্ক থামেনি। কংগ্রেস সাংসদ শফি মঙ্গলবার দাবি করেন, কৌশলে সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ এই দুটি শব্দ বাতিল করা সরকারের উদ্দেশ্য।
[আরও পড়ুন: ১০ আগস্ট ওয়ানড় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, হেলিকপ্টারে ঘুরে দেখবেন ‘মৃত্যুপুরী’]
এর পর বুধবার সংসদে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, আসলে এই সরকার সংবিধানের সমাজতান্ত্রিক, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষ এই শব্দগুলিকে ভয় পায়। এরা জনগণের সঙ্গে বৈষম্য করে ধর্মের নামে দেশে বিভাজন তৈরি করে। অথচ এই দেশ তখনই উন্নত হতে পারে যখন মানুষে মানুষে ভেদাভেদ মুছে দেশে সম্প্রীতি বজায় থাকবে। একইসঙ্গে তিনি আরও জানান, 'সেন্ট্রাল হলে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে সংবিধান হাতে নিয়ে চুম্বন করতে দেখেছিলাম, ভেবেছিলাম অতীতকে পিছনে ফেলে এবার হয়ত নতুন কিছু শুরু হবে। কিন্তু বাস্তবে এই সরকারের কোনও পরিবর্তন নেই। এবং চুম্বন আসলে বিদায়ী চুম্বন ছিল।'
[আরও পড়ুন: ভূমিধসে মৃত্যুপুরী ওয়ানড়, ‘জাতীয় বিপর্যয়’ ঘোষণার দাবি রাহুলের]
লোকসভা ভোটের পর থেকেই এনসিইআরটি অনুমোদিত সামাজবিজ্ঞান এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যবইয়ের ‘পরিমার্জন’ নিয়ে বিতর্ক চরম আকার নেয়। সেই সময় কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছিলেন, 'আরএসএস অনুমোদিত সংস্থার মতো কাজ করছে এনসিইআরটি।'