সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনিয়ার ফোনেই তামিলনাড়ুর কংগ্রেস-ডিএমকের জোটের জট কাটল। ২০ নয়, তামিলনাড়ুতে ২৫টি আসনে লড়াই করেছে কংগ্রেস। গত বিধানসভা নির্বাচনে ৪০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, বিহার নির্বাচনের ফল দেখেই কংগ্রেসকে গত বছরের তুলনায় কম আসন ছেড়েছে DMK।
আগামী মাসেই তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের আগে রবিবার সকালে চূড়ান্ত হল দু’দলের জোট। নয়া চুক্তি অনুযায়ী, ১৮০টি আসনে লড়াই করবে ডিএমকের প্রার্থী। ২৫টি আসনে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস। ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগ এবং এমএমকের যথাক্রমে ৩ ও ২টি আসন পাবে। তবে ‘শান্ত্বনা’ পুরস্কার পাচ্ছে কংগ্রেস। কন্যাকুমারিকা লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে কংগ্রেস। রাজ্যসভার আসনেও প্রার্থী দেবে কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন : সরকারি অফিসারদের বাঁশ দিয়ে মারার নিদান BJP সাংসদের, বিতর্কে গিরিরাজ]
এই আসন বন্টন রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, এ রাজ্য থেকে একাধিক রাজ্যসভার সাংসদ রয়েছে কংগ্রেসের। গত বিধানসভায় ৪০ আসনে লড়াই করেছিল তারা। উল্লেখ্য, পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট নিয়ে তুঙ্গে প্রস্তুতি। লোকসভা নির্বাচনের ধাক্কা কিছুটা সামলে বিজেপিকে( BJP) ঘিরতে তৈরি কংগ্রেস। তবে পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu) জোট জটে জেরবার শতাব্দী প্রাচীন দলটি।
বিশ্লেষকদের মতে, তামিলনাড়ুতে এআইএডিএমকে-বিজেপি জোট কিছুটা ব্যাকফুটে। রাজ্যের বর্তমান শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। ‘আম্মা’ ফ্যাক্টর না থাকায় মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী যে খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না, তাও স্পষ্ট। এহেন পরিস্থিতিতে শুক্রবার ডিএমকে’র সঙ্গে আসন রফা নিয়ে আলোচনা করতে যায় ‘আত্মবিশ্বাসী’ কংগ্রেস। দল মনে করছিল এবার অন্তত ৩০টি আসন পাবে তারা। কিন্তু স্টালিনের দল সাফ জানিয়ে দেয় ১৮ থেকে ২০টির বেশি আসন তারা কংগ্রেসকে ছাড়বে না। শুধু তাই নয়, প্রবীণ নেতাদের অপমানিত হতে হয়েছে বলেও অভিযোগ। তারপর সোনিয়া গান্ধীর ফোনে জোটের জট কাটল বলে খবর।