নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বেশ কয়েকদিন ধরেই অনুব্রত মণ্ডল হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ‘ভয়ংকর খেলার’। পালটা জেলাজুড়ে ‘গুলির খেলা’ হবে বলে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি নেতা কালোসোনা মণ্ডল। মঙ্গলবার অনুব্রতর পাশাপাশি জেলা শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েককে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “আমি বলছি গুলি চলবে। সেই খেলাতে দেশহিতৈষীর সঙ্গে গুলিতে দেশদ্রোহীরও মৃত্যু হবে।”
আগামী নির্বাচনে ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিয়ে নির্বাচনী সভা জমিয়ে দিচ্ছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। সিউড়ির তৃণমূলের সভায় ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিয়ে আগেই বিতর্কে জড়িয়েছেন প্রলয় নায়েকও। এবার পালটা দিয়ে শিরোনামে বিজেপি নেতা কালোসোনা মণ্ডল। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে সাত মাস আগে কালোসোনা মণ্ডলকে বহিষ্কার করে দল। গত রবিবার বিজেপিতে (BJP) ফেরেন তিনি। দলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদককে দেওয়া হয় জেলা কমিটির আমন্ত্রিত পদের সন্মান। মঙ্গলবারই প্রথম প্রকাশ্য পথ সভায় যোগ দেন কালোসোনা। এদিন আগামী নির্বাচনে শিক্ষকদের নিরাপত্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত থাকার প্রতিবাদে সরব হন তিনি। তাঁর অপসারণ চেয়ে মঙ্গলবার জেলাশাসকের দপ্তরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি টিচার্স সেল। একইসঙ্গে সাত দফা দাবির ভিত্তিতে জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেয় বিজেপির প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনটি।
[আরও পড়ুন: প্রশাসনের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ, নেড়া হয়ে বিক্ষোভে বিজেপির নেতা-কর্মীরা]
এদিন প্রতিবাদ সভা থেকে কালোসোনা মণ্ডল বলেন, “অনুব্রত মণ্ডলের সভায় তাঁর খেলার হাতিয়ার ছিল প্রাইমারির চেয়ারম্যান। অনুব্রতবাবুর সঙ্গে তিনিও বলছেন খেলা হবে। আরে খেলা তো জরুর হবে। লড়াই তো হবেই। গুলিও চলবে। দেশহিতৈষীর সঙ্গে খেলা হলে দেশদ্রোহীর ওপর গুলি চলবে। খেলা বিজেপি, শিক্ষক সেলকে করতে হবে না। খেলা জনগণ করবে। জনগণ তাঁদের বৃন্দাবন দেখাবে।” এই আক্রমণ প্রসঙ্গে দলকে জানিয়েছেন বলে জানান প্রলয় নায়েক। তিনি বলেন, “চেয়ারম্যানের প্রশাসনিক পদ। তাঁর বাইরেও আমার ব্যক্তিগত সত্ত্বা আছে। সেখানে আমি তৃণমূলের সমর্থক।” তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অভিজিত রানা সিংহ বলেন, “বিজেপির ভাষা বাহুবলীদের। তাঁদের সংস্কৃতি গুলি-গোলা- বন্দুকের। জনগণই শেষ বিচার করবেন।”