সুব্রত বিশ্বাস: এবার স্টেশনে আগুন জ্বালিয়ে খাবার তৈরি করলেই জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তার করবে আরপিএফ। পূর্ব রেলের জিএম মিলিন্দ কে দেওসকার জানিয়েছেন, শহরতলির স্টেশনগুলো যাত্রী ভিড় থাকে। এই স্টেশনগুলোতে আগুন জ্বেলে খাবার তৈরি, বিক্রি অত্যন্ত বিপজ্জনক। ফলে যাত্রী স্বার্থে তা বন্ধের প্রয়োজন। রেলের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ও বেআইনি সব স্টলেই এধরনের আগুনে তৈরি খাবার নিষিদ্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে রেল।
হাওড়া ও শিয়ালদহের বিভিন্ন স্টেশনে লুচি, রুটি, ঘুগনি, চপ, চা, এমনকি ভাত রান্না হচ্ছে। ভিড়ের মধ্যেই। সম্প্রতি হাওড়া স্টেশনের উত্তর দিকের সাবয়েতে ঢোকার ভিড় রাস্তার ধারে পুরি-সবজি বিক্রির অবৈধ স্টল থেকে গরম তেল ছিটকে যাত্রীর শরীরে লাগার অভিযোগ ওঠে। এরপরই তা নিয়ে নেটদুনিয়া সরব হয়। এবার এই ধরণের খাবারের উপর নিষেধাজ্ঞা রেলের।
[আরও পড়ুন: আরও কাছাকাছি! আরামবাগে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গী দেব]
রেলের এই সিদ্ধান্ত যাত্রীরা উপকৃত ঠিকই। তবে বেশ খানিকটা ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। কারণ, স্টেশনে দাঁড়িয়ে খাবার বিক্রি করেই অর্থ উপার্জন করেন তাঁরা। স্টেশনে রান্না করা খাবার বিক্রি বন্ধে স্বাভাবিকভাবেই রুটিরুজিতে টান তাঁদের। কীভাবে বিকল্প উপায়ে আয়ের বন্দোবস্ত করবেন, সেই চিন্তায় দিশাহারা প্রায় সকলেই।