সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: নাটকই ছিল তাঁর জীবনের প্রধান ধ্যানজ্ঞান। কিন্তু বছর সাতেক আগে নিজেকে অভিনয় জগত থেকে কেন সরিয়ে নিয়েছিলেন নাট্যকর্মী সুজাতা ভারতী, তা জানা নেই কারওই। প্রখ্যাত নাট্য পরিচালক শ্যামানন্দ জালানের গ্রুপের নাটকের দল ‘পদাতিক’-এর সক্রিয় নাট্যকর্মী ছিলেন সুজাতা। তদন্তকারী জানিয়েছেন, প্রায় সাত বছর ধরে ওই নাট্যদলের কোনও রিহার্সালেই আসতেন না সুজাতা। নাট্যদলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন না তাঁর স্বামী রাজেশ বাজপেয়ীও। কিন্তু, কেন এমনটা করেছিলেন তাঁরা, তা জানাতে পারেননি ওই নাট্যদলের সদস্যরা।
[ বালিগঞ্জের বিড়লা মিউজিয়ামে আগুন আতঙ্ক, অল্পের জন্য রক্ষা দর্শকদের]
বছর দশেক আগের কথা। পড়াশোনা শেষ করে সুজাতা ওরফে প্রিয়াঙ্কা একদিন নিজেই সরাসরি চলে আসেন ‘পদাতিক’-এর নাট্যকর্মীদের কাছে। নাটকে অভিনয় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তখনও জীবিত নাট্য পরিচালক শ্যামানন্দ জালান। তখন থেকেই ‘পদাতিক’-এর নিয়মিত অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন সুজাতা। ‘মুখিয়া মনোহরলাল’ থেকে শুরু করে শ্যামানন্দ জালান পরিচালিত ‘লহরে কী রাজন’, একটির পর একটি নাটকে অভিনয় করে গিয়েছেন তিনি। ‘পদাতিক’ নাট্যদলের অন্যতম কর্তা স্বপন মিত্র জানিয়েছেন, “বড় মিশুকে স্বভাবের ছিল সুজাতা। দলের প্রতিটি কর্মীর সঙ্গে তার দারুণ সম্পর্ক ছিল। টানা প্রায় চার বছর ধরে গ্রুপে বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করেছিল সে। এমনকী নিজেও নাটক লিখতে ভালবাসত সুজাতা। শ্যামানন্দজির সঙ্গেও তার মধুর সম্পর্ক ছিল। গ্রুপে অভিনয় করতে করতেই আরও এক নাট্যকর্মী রাজেশ বাজপেয়ীর সঙ্গে সুজাতার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকেই প্রেম, তারপর বিয়ে।” কিন্তু বিয়ের পর থেকে ধীরে ধীরে অভিনয় জগত থেকে নিজেরে সরিয়ে নেন সুজাতা।
স্বপন মিত্র জানিয়ছেন, “আমাদের ধারণা, এরপর থেকেই সুজাতা ক্যানসার ও নানা ধরনের সাংসারিক এবং অর্থনৈতিক কারণে জড়িয়ে পড়ে। তারই মাঝে একটি সন্তানের জন্ম দেয় সে। সেইসব কারণেই অভিনয় জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয় সুজাতা।” মঙ্গলবার রাতে লঞ্চ থেকে প্রেমিক অভিষেক সাউয়ের সঙ্গে মাঝ গঙ্গায় ঝাঁপ দেন সুজাতা। ঘটনার পর তিন কেটে গিয়েছে। কিন্ত এখনও পর্যন্ত অভিষেক ও সুজাতার খোঁজ মেলেনি।
[দেশজুড়ে ব্যাংক ধর্মঘটে গ্রাহকদের ভোগান্তি, ব্যাহত এটিএম পরিষেবাও]
The post সাত বছর ধরে নাট্যদল ‘পদাতিক’-এর সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল না সুজাতার appeared first on Sangbad Pratidin.