সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সাম্প্রতিক টিকাকরণের ঘোষণায় উঠে এসেছে ছোটদের টিকাকরণের কথা। মূলত করোনার (Coronavirus) নতুন প্রজাতি ওমিক্রন (Omicron) থেকে বাঁচতেই সরকার পক্ষের এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু মোদির এই ঘোষণার পরই বিস্ফোরক দাবি করেছেন এইমসের এক বিজ্ঞানী। তাঁর মতে, ছোটদের টিকাকরণের এই সিদ্ধান্ত অবৈজ্ঞানিক।
ড. সঞ্জয় কে রাই এইমসের বিজ্ঞানী তথা ভারতীয় জনস্বাস্থ্য অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। তিনি আবার ভারত বায়োটেকের টিকা কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) ট্রায়ালের অন্যতম প্রধান পরীক্ষকও ছিলেন। তাঁর কথায়, সরকারের এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাচ্চাদের জন্য করোনার টিকা (Corona vaccine) কতটা জরুরি, তা ভাল করে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে টিকাকরণ করে দিতে হবে, সেটা না করাই ভাল।
[আরও পড়ুন: তুষারপাতে বিপর্যস্ত সিকিম, ছাঙ্গুতে আটক হাজারের বেশি পর্যটককে উদ্ধার করল সেনা]
নতুন বছর অর্থাৎ ৩ জানুয়ারি থেকে দেশের ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হতে চলেছে। শনিবার, বড়দিনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে এই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, কমবয়সিদের টিকাকরণ হয়ে গেলে পুরোদমে আবার স্কুল, কলেজ খুলে দেওয়া যাবে। কৃত্রিম উপায় ছোটদের শরীরে করোনার মোকাবিলা করার শক্তি বাড়বে। কিন্তু ছোটদের ক্ষেত্রে প্রতিষেধকের মাধ্যমে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার কী প্রয়োজন? কতটাই বা বাস্তবসম্মত? এসব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই বিজ্ঞানী।
[আরও পড়ুন: ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে প্রেমিককে বিয়ে! তিনদিন পর ঘরে ফিরলেন পিংলার গৃহবধূ]
বিজ্ঞানী সঞ্জয় কে রাই টুইটারে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির একজন অনুরাগী তিনিও। মোদি সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়ে থাকেন বলেই বিশ্বাস করেন। তবে ছোটদের (Teenagers) টিকাকরণের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার, তা বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়ে মেনে নিতে পারছেন না তিনি। কারণ, টিকাকরণের পরও কোভিড পজিটিভ হচ্ছেন অনেকে। যদি মৃত্যুহার কমানোই উদ্দেশ্য হয়, তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশেষ কিছু বলার থাকে না। কিন্তু টিকায় সেটাও কতটা কমছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছেই।