সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় প্রবীণদের থেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নবীনরাই। এতদিন বিশেষজ্ঞরা এমনটাই দাবি করছিলেন। এবার কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যানে তা হাতেনাতে প্রমাণও হয়ে গেল। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য বলছে, ১ মে’র পরে দেশে যতজন করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ২৬ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছেন ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সিরা।
বুধবার কেন্দ্র সরকারের তরফে প্রকাশ করা তথ্য বলছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে যাঁরা যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ২৬.৫৮ শতাংশই তরুণ। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সংখ্যাটা খানিকটা কমে হয়েছিল ২৫.৮৯ শতাংশ। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে অর্থাৎ ১৫-২১ মে পর্যন্ত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সংক্রমণের হার ছিল দেশের মোট আক্রান্তের ২৫.৬০ শতাংশ। এতো গেল ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সিদের কথা। পরিসংখ্যান বলছে, সার্বিকভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সিরা। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এই বয়সের মানুষের মধ্যে আক্রান্তের হার ছিল প্রায় ২৩.১২ শতাংশ। দ্বিতীয় সপ্তাহে তা দাঁড়ায় ২২.৭৯ শতাংশ। তৃতীয় সপ্তাহে তা দাঁড়িয়েছে ২২.৫৮ শতাংশ। ২২ মে থেকে ২৪ মে এই তিনদিনে মোট আক্রান্তের ২২.২৪ শতাংশই ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সি।
[আরও পড়ুন: দেশে আরও বাড়ল ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে চিকিৎসাধীন রোগী, সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ গুজরাটে]
শিশু এবং নাবালকদের মধ্যেও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে মোট করোনা আক্রান্তের প্রায় ৭.৮২ শতাংশই ছিল শিশু এবং নাবালক। ২২ থেকে ২৪ মে এই সংখ্যাটাই বেড়ে হয়েছে ৮.৭৩ শতাংশ। এদের মধ্যে বেশি প্রভাবিত হয়েছে ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সের নাবালকরা। চলতি মাসে এদের আক্রান্তের হার ঘোরাফেরা করছে ৫ শতাংশের আশেপাশে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ মূলত শিশু এবং তরুণদের উপর প্রভাব ফেলবে। কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যানও সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। অথচ, টিকার অভাবে দেশের বেশিরভাগ এলাকায় এই বয়সের নাগরিকদের টিকাকরণ (Vaccination) শুরুই করা যায়নি।