shono
Advertisement

দেশে আরও বাড়ল করোনার ‘বিলিতি স্ট্রেনে’আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে উদ্বেগ

ডিসেম্বরের আগেই ভারতে ঢুকেছে এই স্ট্রেন, আশঙ্কা এইমসের ডিরেক্টরের।
Posted: 11:58 AM Dec 31, 2020Updated: 11:58 AM Dec 31, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সার্বিকভাবে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও করোনার নতুন স্ট্রেন নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের শরীরে নতুন এই স্ট্রেনের হদিশ মিলেছে। এঁদের মধ্যে ৪ জনের হদিশ মিলেছে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরলোজিতে। বাকি ১ জনের হদিশ মিলেছে দিল্লির আইজিআইবিতে। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত ভারতে মোট ২৫ জনের শরীরে করোনার নতুন স্ট্রেনের সন্ধান মিলল। এই ২৫ জনকেই আইসলেশনে রাখা হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের এই নতুন স্ট্রেনের করোনার হামলায় ইতিমধ্যেই নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বেশ কয়েকটি দেশে। ভারত এই নতুন করোনার হামলা রুখতে আগেভাগে সতর্ক হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ব্রিটেনের ‘সুপার স্প্রেডার’ অতি সংক্রামক স্ট্রেনের ক্রমবর্ধমান সংখ্যাটা আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে কেন্দ্রের জন্যও। কারণ, করোনার নতুন এই স্ট্রেন প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। ইতিমধ্যেই এইমসের (AIIMS) ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন, ব্রিটেনের এই নতুন স্ট্রেন হয়তো ডিসেম্বরের আগেই ভারতে ঢুকেছে। তবে তিনি আশাবাদী, এর ফলে ভারতে অন্তত উপসর্গযুক্ত রোগীর সংখ্যা খুব একটা বড় আকারে বাড়বে না। তিনি বলছেন, যদি এই ভাইরাস ভারতে ঢুকেও থাকে, তাতেও এর প্রভাবে খুব বেশি সংক্রমণ, বা হাসপাতালে ভরতি হওয়ার ঘটনা ঘটছে বলে মনে হয় না।

[আরও পড়ুন: বছরের শেষ দিনেও নেই স্বস্তি! বাড়ল করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ]

তবে, সরকার সব রাজ্যকেই সতর্ক করছে। বিশেষ করে বর্ষবরণের রাতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো শহরে নাইট কারফিউও জারি করা হয়েছে। বর্ষবরণের রাতে পার্টিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বহু শহরে। ইতিমধ্যেই নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্য) সদস্য বিনোদ পল (VK Paul) জানিয়েছেন, “নতুন প্রজাতি বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে ভারতেও ঢুকে পড়েছে। আমাদের অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।” ব্রিটেনের (UK) নতুন প্রজাতির তথ্য সামনে আসার পর ভারতে কয়েক হাজার ‘জিনোম সিকোয়েন্সিং’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেই স্ট্রেন দেশে কতটা ছড়িয়েছে, তা জানতেই এখন তৎপর কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, বিদেশ থেকে আগত করোনা পজিটিভের জিনোম সিকোয়েন্স করার পাশাপাশি দেশের করোনা পজিটিভদের পাঁচ শতাংশেরও জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হবে। সুপার স্প্রেডার এই প্রজাতি ছড়িয়ে পড়লে দেশে করোনার ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ আসার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement