কৃষ্ণকুমার দাস: শীতের শুরুতে রাজ্যে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ কমল খানিকটা। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৩৬৭, মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। আক্রান্তের তুলনায় বেশি সুস্থ হওয়ার সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩৪৪৫ জন।
তবে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা সেই সংক্রমণের শীর্ষেই। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের রেকর্ড শহর কলকাতায়। এই পরিসংখ্যান দেখে কলকাতায় কন্টেনমেন্ট জোনের (Containment Zone) সংখ্যা বাড়াতে বাধ্য হল রাজ্য সরকার। তবে দৈনিক সংক্রমণের হার ৯০০-র কাছে থাকলেও রবিবার এই কন্টেন্টমেন্ট জোন মাত্র তিনটি বাড়ানো হয়েছে। নতুন জোনগুলি হল –
- বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের একাংশ
- টালিগঞ্জের একাংশ
- গড়িয়ার একাংশ
[আরও পড়ুন: তারকেশ্বরে তৃণমূলের সভায় ডাক পেলেন না দলেরই বিধায়ক! নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?]
এভাবে কনটেনমেন্ট জোন বৃদ্ধির ঘটনা মহানগরের পক্ষে রীতিমতো অশনি সংকেত বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তবে প্রশ্নও উঠেছে এখানে। রবিবারও যেখানে কলকাতায় ৯০০র কাছাকাছি বাসিন্দা নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন, সেখানে কীভাবে নতুন করে মাত্র তিনটি কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত হতে পারে? যদিও এই সময়েই কলকাতায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ৯৪১ জন রোগী। শীতের শুরুতে কলকাতায় কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় পুরসভা ইতিমধ্যে আরও ৫০টি অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শিবির চালু করছে। এরই মধ্যে আগামী ২ ডিসেম্বর, বুধবার কলকাতায় দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কোভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হচ্ছে। প্রথম টিকা নেবেন কলকাতার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের বেকারত্বের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ বিজেপি নেতার, রাস্তায় বসেই ভাজলেন চপ!]
কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনাতেও সংক্রমণের দাপট বেড়েই চলেছে। এই মুহূর্তে জেলায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৬,২২২। এখানে কনটেনমেন্ট জোনের ৮। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যে সর্বাধিক কন্টেন্টমেন্ট জোন পূর্ব বর্ধমানে – ৫৬৩। এছাড়া নদিয়ায় ৪৬টি, হাওড়ায় ২২টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩৩টি, হুগলিতে ১৮টি কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে এই মুহূর্তে।