সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহান্তে ফের আশা জাগিয়ে নিম্নমুখী রাজ্যের করোনা গ্রাফ। কমল দৈনিক সংক্রমণ, মৃত্যুর হার। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা ভাইরাসে (Coronavairus) আক্রান্ত ৭৮৭ জন, শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ৯২৬। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের, শুক্রবার যা ছিল ২১। তবে পাল্লা দিয়ে কমল সুস্থতার হারও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মাত্র ৯৭৮ জন। এ নিয়ে রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৬.৭৯ শতাংশ। তবে দীর্ঘদিন পর কলকাতার চেয়ে করোনা সংক্রমণ বেশি ধরা পড়ল উত্তর ২৪ পরগনায়।
সপ্তাহের শুরুর দিকে বাংলায় (West Bengal) করোনা সংক্রমণের হার কমে গিয়েছিল অনেকটাই। ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার আগে এই পরিসংখ্যান বেশ স্বস্তি জুগিয়েছিল। কিন্তু সপ্তাহের মধ্যভাগে কোভিড গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে। সপ্তাহান্তে অর্থাৎ শনিবার আবারও সংক্রমণের হার কমল। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, এ নিয়ে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত ৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৯, যার মধ্যে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৮,০৩৪। মৃত্যু হয়েছে মোট ৯৯২২ জনের। আর করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করে বাড়ি ফিরেছেন মোট ৫ লক্ষ ৪১ হাজার ৯৩০জন।
[আরও পড়ুন: প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার সম্পর্কের টানাপোড়েন, স্কুলের মধ্যেই হাতাহাতি, উত্তপ্ত বনগাঁ]
রাজ্যের করোনা গ্রাফ অনুযায়ী, দীর্ঘদিন পর কলকাতাকে পেরিয়ে সংক্রমণের শীর্ষে উঠল উত্তর ২৪ পরগনা।। এখানে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্য়া ১৭১০, কলকাতায় এই সংখ্যাটা ১৬১৮। ফলে নতুন করে উত্তর ২৪ পরগনাকে নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্যমহল। করোনাযুদ্ধে সবচেয়ে এগিয়ে এই মুহূর্তে ঝাড়গ্রাম। তার ঠিক পরেই রয়েছে কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার। শুক্রবারই গোটা দেশের সঙ্গে রাজ্যে করোনা টিকাকরণের মহড়া হয়ে গিয়েছে। ভ্যাকসিন হাতে পেলেই শুরু হয়ে যাবে প্রয়োগ। তবে তার আগেই করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে বাংলা বেশ খানিকটা এগিয়ে বলে দাবি প্রশাসনের।