সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) চিকিৎসায় ব্যবহৃত বহু পণ্যে কর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও বিরোধী শিবিরের মন পেল না সরকার। উলটে সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে জনবিরোধী বলে দেগে দিল এরাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের সাফ দাবি, করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত পণ্যগুলিকে পুরোপুরি করমুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কেন্দ্রের উচিত ছিল সেই দাবি মেনে নেওয়া। সেটা না করে আসলে কেন্দ্র সরকার জনবিরোধী অবস্থান নিল।
সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বললেন, “গত ৯ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখে দাবি করেছিলেন করোনা সম্পর্কিত সমস্ত পণ্যে কোনও কর নেওয়া যাবে না। আজ কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁরা GST নেবে। সমস্ত জীবনদায়ী ওষুধে তাঁরা কর বহাল রাখছে। এটা একটা হাস্যকর তামাশা। এই তামাশা কেন্দ্রীয় সরকার দেশবাসীর সঙ্গে করছে। মানুষের সঙ্গে করছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ওরা কর নিচ্ছে। আবারও ওরা প্রমাণ করল এই সরকার একটা জনবিরোধী সরকার। কোনও সভ্য দেশে এই ধরনের পণ্যের উপর কর বসতে পারে না।”
[আরও পড়ুন: রেমডিসিভির-সহ করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত বহু পণ্যে কমছে GST, বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর]
একই সুর শোনা গেল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের (Sukhendu Sekhar Roy) গলাতেও। তাঁর বক্তব্য, “খানিকটা কর কমানো হলেও করোনা সম্পর্কিত পণ্যগুলিকে করমুক্ত করা হয়নি। এটা জনবিরোধী অবস্থান। এর আগে ইতিহাসে কখনও হয়নি। মহামারীর সময় সরকার এতো দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে পারে না। আমরা এই সরকারকেই দায়ী করছি মহামারীর জন্য। এই জনবিরোধী নীতির আমরা তীব্র প্রতিবাদ করছি। এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করছি, কোভিভ সংক্রান্ত সমস্ত চিকিৎসা সামগ্রীর উপর সমস্তরকম কর প্রত্যাহার করতে হবে। ” বস্তুত, তৃণমূল নেতারা বুঝিয়ে দিলেন, করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত পণ্যের উপর জিএসটি কমানোর যে সিদ্ধান্ত কেন্দ্র সরকার নিয়েছে, সেটাও মমতা চাপ সৃষ্টি করার ফলেই। তবে, এতে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। এই পণ্যগুলি পুরোপুরি করমুক্ত করার দাবিতে আগামী দিনেও আন্দোলন করবে তারা।
এদিকে জিএসটি কাউন্সিলের যে বৈঠকে এই যাবতীয় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেই বৈঠক নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন এরাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাঁর দাবি, এদিনের বৈঠকের যাবতীয় সিদ্ধান্ত একতরফা ভাবে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের কোনও প্রতিনিধির কথা শোনাও হয়নি। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠিও লিখছেন তিনি।