অর্ণব আইচ: খিদিরপুরে শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার বিচার শেষ হল প্রায় ছ বছর পর৷ বৃহস্পতিবার এই ঘটনার রায় ঘোষণা করল ব্যাঙ্কশাল আদালত৷ দোষী সুরেশ পাসোয়ানকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিলেন বিচারক৷ সুবিচার পেয়ে খুশি নিহত শিশুর পরিজনরা৷
[ আরও পড়ুন: ‘মেয়াদ উত্তীর্ণ ফেলে দেওয়া ওষুধ’, অনুপমকে তীব্র কটাক্ষ মিমির]
২০১৩ সালের ২১ জুলাই রাতে হেস্টিংস থানা এলাকায় খিদিরপুর ব্রিজের কাছে ফুটপাতে শুয়েছিল আড়াই বছরের ওই শিশুটি৷ আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় সে৷ ছোট্ট নাতনিকে খুঁজে না পেয়ে ওই রাতেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন শিশুর ঠাকুমা। ২২ জুলাই ভিক্টোরিয়ার কাছে একটি পরিত্যক্ত জলাশয় থেকে উদ্ধার হয় তার দেহ। এই ঘটনার পরই হেস্টিংস থানার পুলিশ অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যা-সহ পকসো আইনের বিশেষ ধারায় মামলা দায়ের করে। হেস্টিংস থানা থেকে তদন্তভার নেয় কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। তদন্তে নেমে বিহারের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শিশুকন্যাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত সুরেশ পাসোয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তকারীদের জেরায় কুকীর্তির কথা কবুল করে সে। প্রায় ছ’বছর ধরে এই মামলার শুনানি চলে৷ ব্যাঙ্কশাল আদালত মোট ৩৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে৷ পুলিশ আদালতে চার্জশিট পেশ করে। এরপর নির্দিষ্ট ধারায় চার্জ গঠন করে শুরু হয় মূল মামলার বিচার। ওই মামলাতেই বিচারক সুরেশ পাসোয়ানকে দোষী সাব্যস্ত করেন৷
[ আরও পড়ুন: পর্যবেক্ষক নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগকে গুরুত্ব কমিশনের, সরছেন আরএসএস ঘনিষ্ঠ কে কে শর্মা]
বৃহস্পতিবার মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক৷ সুরেশকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৪ (অপহরণ) ধারায় আট বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, ৩৭৬-এ ধারায় কুড়ি বছরের কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা, পকসো আইনে আট বছরের কারাদণ্ড এবং ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাকে৷ মাত্র আড়াই বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলেও উল্লেখ করেন বিচারক৷ দোষীর সর্বোচ্চ সাজা হওয়ায় খুশি শিশুর পরিজনেরা৷
The post খিদিরপুরে শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন,৬ বছরের বিচারশেষে মৃত্যুদণ্ড দোষীর appeared first on Sangbad Pratidin.