গোবিন্দ রায়: বেকসুর খালাস মাওবাদী নেতা তেলুগু দীপক (Telegu Deepak)। আলিপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালত তাকে নির্দোষ বলে রায় দিয়েছে। নাশকতা, দেশদ্রোহিতা-সহ একাধিক অভিযোগে নাম জড়িয়েছিল তেলুগু দীপকের। ২০১০ সালে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি।
নন্দীগ্রামে (Nandigram) মাওবাদী কার্যকলাপ, নাশকতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ ছিল। সেই সব অভিযোগ থেকে তাকে মুক্তি দেয় আলিপুর আদালত। তবে বেকসুর খালাস হলেও এখনই মুক্তি পাচ্ছে না তেলুগু দীপক। তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা এবং নাশকতার অভিযোগ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। বাকি অভিযোগগুলি এখনও বিচারাধীন।
[আরও পড়ুন: রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণের মূল চক্রী ছত্রধর মাহাতোই! চার্জশিট পেশ করল NIA]
৪০ টির বেশি রাজনৈতিক খুন, নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা-সহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত মাওনেতা তেলুগু দীপক ওরফে ভেঙ্কটেশ্বর রেড্ডি। ১৯৯৫ সাল থেকে মাও নেতা কিষেণজিকে সঙ্গে নিয়ে মাওবাদী কার্যকলাপ বাড়াচ্ছিল তেলুগু দীপক। যা তৎকালীন রাজ্য সরকারের কাছে অত্যন্ত মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল।
পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের সিপিএম নেতা রবি কর হত্যা, ২৪ জন ইএফআর জওয়ানের হত্যা, সাঁকরাইল থানার ওসিকে অপহরণ-সহ একাধিক হত্যা ও ষড়যন্ত্রে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে তেলুগু দীপকের বিরুদ্ধে। এক সময় বাংলার ত্রাস এই তেলুগু দীপককে ২০১০ সালের মার্চ মাসে বিষ্ণুপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারির সময় একে-৪৭ রাইফেল-সহ তাকে আটক করেছিল সিআইডির গোয়েন্দারা। গ্রেপ্তারির এক মাসের মধ্যে শুরু হয় বিচারপ্রক্রিয়া। এক দশক পর শুক্রবার তেলুগু দীপককে বেকসুর খালাস ঘোষণা করে আলিপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালত।