গোবিন্দ রায়: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। তদন্তের অগ্রগতি কতটা হয়েছে, তা জানতে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিল সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। রিপোর্টের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি যুক্ত করতে হবে সিবিআইকে। সিবিআইকে আদালতের প্রশ্ন, “আপনারা তদন্তের অগ্রগতি বা আপনারা কী করছেন সেটা আমরা জানতে চাই।” মামলার পরবর্তী শুনানি আগামিকাল।
২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট (Primary TET 2014) পরীক্ষায় কিছু পরীক্ষার্থীর বাড়তি ১ নম্বর পাওয়া নিয়ে জলঘোলা হয়েছে। এদিন এই নম্বরকে ‘নিউটনের আপেল’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন বিচারপতি। তাঁর কথায়, “এখানে ব্যাপারটা নিউটনের আপেলের মতো। গাছের নিচে বসেছিলেন, হঠাৎ একটা আপেল এসে পড়ল। এখানেও হঠাৎ করে কিছু চাকরিপ্রার্থী বাড়তি এক নম্বর করে পেয়ে গেলেন। এক্ষেত্রে এই এক নম্বর হচ্ছে নিউটনের আপেল। এই এক নম্বর কোথা থেকে আসলো সেটাই এই মামলার বিচার্য বিষয়।”
[আরও পড়ুন: রেললাইনের ধারে খেলতে যাওয়াই কাল! রেলিংয়ে মাথা আটকে মৃত্যু উল্টোডাঙার খুদের]
রাজ্যের পালটা দাবি, “বহুক্ষেত্রেই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের যুক্তই করা হয়নি। তাঁদের আরও সওয়াল, “যদি এটাকে ভুল বলেও ধরা যায়, তাহলেও এটা এমন ভুল নয় যেটা সংশোধন করা যায় না।” নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যের দাবি, “এই চার বছরে কেউ বলতে পারবেন না যে নিযুক্ত হওয়া শিক্ষকরা শিক্ষাদান থেকে বিরত থেকেছেন। কেউ বলতে পারবেন না যে এই ২৬৫ জন শিক্ষক অপরাধমূলক কাজে যুক্ত ছিলেন।” তাঁদের আক্ষেপ, “ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।”
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২৬৯ জনের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০১৬ সালে একটি প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল। পরে ২০১৭ সালে আরও একটি প্যানেল প্রকাশিত হয়। সেই প্যানেলেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, পরীক্ষা না দিয়েই মিলেছে চাকরি। তারপরই এই দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হয়। এর বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছেন পর্ষদ এবং রাজ্য।