সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সল্টলেকে (Salt Lake) তরুণীর শ্লীলতাহানি কাণ্ডে জেল হেফাজতে দুই পুলিশকর্মী। আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিধাননগর মহকুমা আদালতের বিচারক। সোমবার আদালতে তোলা হলে বিচারকের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ে অভিযুক্ত ট্রাফিক গার্ডের এএসআই এবং সিভিক ভলান্টিয়ার।
পুলিশ সূত্রে খবর, এএসআই (ASI) সন্দীপকুমার পাল এবং সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) অভিষেক মালাকার সপ্তাহান্তের রাতে ১০টা নাগাদ কাজ শেষ করে। দু’জনেই তারপর কোনও এক নিমন্ত্রণ বাড়িতে গিয়েছিল। ফেরার পথে করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডের কাছে আসানসোল নিবাসী ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা হয় তাদের। গড়ফায় এক বন্ধুর বাড়িতে যাবেন বলেই আসানসোল থেকে এসেছিলেন তিনি। তবে অত রাতে কীভাবে গড়ফায় পৌঁছবেন, তা বুঝতে পারছিলেন না তরুণী। তিনি দেখেন পুলিশের উর্দি গায়ে, পুলিশের স্টিকার লাগানো বাইক চালিয়ে দু’জন আসছেন। তাই বিশ্বাস করে তাদের থেকেই সাহায্য চেয়েছিলেন। অভিযোগ, রক্ষকই ভক্ষকের রূপ নেয়। ওই তরুণীকে সাহায্যের নামে দুই পুলিশকর্মী শ্লীলতাহানি করে।
[আরও পড়ুন: Omicron: টিকার কার্যকারিতা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে ‘ওমিক্রন’, দাবি WHO’র]
এই ঘটনায় পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিধাননগর মহকুমা আদালতের বিচারক। তিনি জানান, ১০টার পর অন ডিউটি ছিলেন না ঠিকই। কিন্তু পুলিশকে নিরাপদ আশ্রয় ভেবেই আপনাদের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন তরুণী। এটা উপকার করার কোনও ভাষা? আপনাদের উচিত ছিল নিকটবর্তী কোনও থানায় জানানো। নিয়ম অনুযায়ী, ওই থানার মহিলা পুলিশকর্মী তাঁকে গাড়ি করে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা। বিশাখা গাইডলাইন কেন জানেন না? কেন ওই মহিলাকে বাইকে তুললেন? চাইলে তো তাঁকে ক্যাব বুক করে দিয়ে সাহায্য করতে পারতেন। উচিত ছিল তাঁর ফোন নম্বর নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছেছেন সেই খবর নেওয়া। কেন সে কাজ করলেন না? ভর্ৎসনার পরই ওই দুই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিধাননগর মহকুমা আদালতের বিচারক। আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে তাদের।
তবে ওই দুই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর দাবি, তারা তরুণীর উপকার করতে চেয়েছিলেন। পুলিশের তরফে টিআই প্যারেডের আবেদন করা হয়। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। এদিকে, বিধাননগর থানার বিরুদ্ধে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ।