অভিরূপ দাস: নোভেল করোনা ভাইরাসে (CoronaVirus) আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে চিকিৎসকদের মৃত্যু থামার নাম নেই। ২০২০ সাল থেকে শুরু হয়েছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউও কেড়ে নিচ্ছে রাজ্যের একের পর এক ডাক্তারবাবুকে। মঙ্গলবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল আরও দুই চিকিৎসকের। তাঁদের মধ্যে একজন প্রবীণ হলেও, আরেকজনের বয়স পঞ্চাশেরও কম। ডা. পার্থ প্রতীম লাহা এবং ডা. প্রশান্ত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া চিকিৎসক মহলে।
বছর সাতচল্লিশের ডা. পার্থ প্রতীম লাহা গতবছরও করোনা (COVID-19) আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০২১ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য করোনা আক্রান্ত হন তিনি। টানা ১০ দিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। তাঁর চিকিৎসক সতীর্থরা জানিয়েছেন, ঘনিষ্ঠমহলে টিকা নিতে অনিচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি টিকা নিয়েছিলেন। তারপরও আক্রান্ত হয়েছিলেন, এবং শেষপর্যন্ত মৃত্যু হল। বিশেষজ্ঞরা বারবারই বলছেন টিকা নিলে করোনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও অসুখের ভয়াবহতা অনেক কম থাকবে। কিন্তু ডা. লাহার মৃত্যু সেই তথ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল।
[আরও পড়ুন: মিলছে না অ্যাম্বুল্যান্স! কোভিড রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দিতে পথে ৩০০ অ্যাপ ক্যাব]
এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮৪ বছরের প্রবীণ চিকিৎসক ডা. প্রশান্ত মুখোপাধ্যায়ের। হাওড়ার এই প্রবীণ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞর মৃত্যুতে শোকাহত চিকিৎসক মহল। একের পর এক চিকিৎসকের মৃত্যুতে আতঙ্কিত ডাক্তারবাবুরা। অনেকেই চিকিৎসক সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করছেন। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন চিকিৎসক অনুপ মুখোপাধ্যায়। তিনি গত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে করোনার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের (Covisheild) দুটি ডোজ নিয়েছিলেন। টিকা নেওয়ার পরেও ফের আক্রান্ত হওয়ার কারণে ১৬ এপ্রিল, শুক্রবার তাঁকে ভরতি করানো হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই ২০ এপ্রিল দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। টিকা নেওয়ার পর একের পর এক চিকিৎসকের এই মৃত্যু প্রশ্ন তুলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে চিকিৎসকমহলেই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।