সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এখনও পর্যন্ত সংগঠনকে সাজিয়ে-গুছিয়ে তুলতে না পারলেও। উৎসবের মরশুমে স্টল দিয়ে বইপত্র কেনাকাটায় পুরুলিয়ায় ও বাঁকুড়ায় সাড়া পেল সিপিএম (CPM)। পুরুলিয়ায় পুজোর সময় তারা এবার পাঁচটি স্টল দেয়। বাঁকুড়াতে দেওয়া হয়েছিল ২২টি স্টল। দুই জেলায় বেড়েছে সিপিএমের বই বিক্রিও। তবে বেশকিছুটা বিক্রি কমেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায়।
দুর্গাপুজোর সঙ্গে বই বাঙালির কাছে যেন সমার্থক শব্দ হয়ে আছে। ছুটির অবসরে বাঙালি মেতে ওঠে বইয়ের পাতায়। এবারের শারদ উৎসবে সিপিএমের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মার্কসীয় সাহিত্য ও প্রগতিশীল বইয়ের স্টল করা হয়েছিল। উৎসবের চারদিনে সেই স্টলগুলোতে ছিল মানুষের ঢল। ‘বই কিনুন, বই পড়ুন, বই পড়ান’- এই আহ্বানকে সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকায় করা হয়েছিল বুক স্টল।
[আরও পড়ুন: ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি-ভিডিও তুলে রাখাতেই খুন অয়ন? হরিদেবপুর কাণ্ডে নয়া প্রশ্ন]
পুরুলিয়া শহরের নডিহা, ডাকবাংলো এলাকা মিলিয়ে দু’টি। এছাড়া রেলশহর আদ্রা, মানবাজার, পাড়া ব্লকের নডিহা মিলে তিনটি। পাঁচটি স্টল থেকে মোট কত টাকার বই বিক্রি হয়েছে সঠিকভাবে তা সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা কমিটি এখনও পর্যন্ত না জানাতে পারলেও দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে এবার বইপত্র কেনাকাটায় ভালো সাড়া মিলেছে। সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেন, “এখনও হিসাব আসেনি। তবে ৫০ হাজার টাকার কাছাকাছি হতে পারে।”
অন্যদিকে, বাঁকুড়াতেও এবার স্টলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াই নয় বই বিক্রিতেও ভাল সাড়া পেয়েছে সিপিএম। সিপিএম সূত্রে খবর, চলতি বছর পুজায় সিপিএমের দেওয়া বইয়ের স্টল সংখ্যা বেড়ে ২২। বাঁকুড়ায় বইয়ের স্টলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় খুশি সিপিএম নেতারা। বড়জোড়া, বেলিয়াতোড়া এবং জামবেদিয়া এই তিনটি স্টলের দায়িত্বে থাকা সিপিএমের জেলা কমিটির নেতা সুজয় চৌধুরি জানান, “পুজোর চারদিনে এই তিনটি বইয়ের স্টলে মোট ১৬ হাজার টাকার বই বিক্রি হয়েছে।” সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর স্টল সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনই বই বিক্রিও বেড়েছে।
[আরও পড়ুন: ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি-ভিডিও তুলে রাখাতেই খুন অয়ন? হরিদেবপুর কাণ্ডে নয়া প্রশ্ন]
তবে পুজোয় সিপিএমের বইয়ের স্টলের সংখ্যা এবং বিক্রির পরিমাণ কমল মুর্শিদাবাদ জেলায়। এবছর ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার বই বিক্রি হয়েছে। যা কত কয়েক বছরের মধ্যে সবথেকে কম বলে জানিয়েছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা। গত দু’বছর করোনার নিয়ন্ত্রণ ছিল। তাই ২০২০ এবং ২০২১ সালকে বাদ দিয়েই হিসাব কষা হচ্ছে। সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা জানিয়েছেন, “এবার পুজোয় কান্দি মহকুমা ছাড়া ১৭টি জায়গায় আমরা বইয়ের স্টল করেছিলাম। প্রায় তিন লক্ষ ৬০ হাজার টাকার বই বিক্রি হয়েছে আমাদের। তবে বিক্রির পরিমাণ ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।’’ যদিও তাঁর দাবি, “জনসংযোগ আগের থেকে অনেক বেড়েছে।”
তবে এবার কান্দি মহকুমায় কোনও বইয়ের স্টলই দিতে পারে নি সিপিএম। এদিকে কান্দি মহকুমা এসইউসিআইয়ের সদস্য শ্রীকান্ত দাস দাবি জানিয়েছেন, “এবার আমরা কান্দি শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপের সামনে বইয়ের স্টল করে যেমন জনসংযোগ করেছি তেমনই আমাদের প্রচুর পরিমাণে বই বিক্রি হয়েছে। যার মূল্য আট হাজার টাকার উপর।”