সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধরেই নেওয়া হয়েছিল, তিনি ফুরিয়ে গিয়েছেন। তাঁর ডানা ছাঁটাও শুরু হয়। তাঁকে সরিয়ে অধিনায়ক করা হয় শুভমান গিলকে। কিন্তু তাতে কি? সব কিছু ভুলে সাত মাস পর আন্তর্জাতিক ওয়ানডে’তে ফিরে পারথে ব্যর্থতার পরের দুই ম্যাচে যে খেলাটা খেললেন, তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। দ্বিতীয় ওয়ানডে'তে ৭৩ রানের পর সিডনিতে সেঞ্চুরি করে আবারও জাত চেনালেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। এরপর কিছুটা আবেগঘন তিনি।
অ্যাডিলেডে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করে লড়াকু ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি। আর শনিবার অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একেবারে 'ভিন্টেজ রোহিত' রূপে ধরা দিলেন। জল্পনা ছিল, অজিভূমেই হয়তো ফেয়ারওয়েল পেতে চলেছেন তিনি। কিন্তু সমস্ত সমালোচনার জবাব দিলেন তিনি।
অ্যাডিলেডে প্রথম দিকে রোহিত একটু জড়সড় ছিলেন। ধীরে ধীরে ব্যাটের পরত খুলেছিলেন। বাইশ গজে কামড়ে পড়ে থাকার মন্ত্রই তাঁকে রানে ফিরিয়েছিল। আর ছন্দ ফিরে পাওয়া রোহিত যে কী করতে পারেন, তা ফের দেখা গেল সিডনিতে। ইনসাইড-আউট, পুল শট, সুইপ শট একে একে নিজের সব শট ঝুলি থেকে বার করেন তিনি। তিন-তিনটে ছক্কা হাঁকালেন। ছিল ১৩টা বাউন্ডারিও। তিন ম্যাচে তাঁর রান সংখ্যা ২০২। যা সিরিজেরও সর্বোচ্চ রান। ভারত সিরিজ হারল বটে। কিন্তু ব্যাটার রোহিতকে ফেরত পেল। বিরাট কোহলিও রানে ফিরলেন। আর শুভমান গিল ওয়ানডে অধিনায়ক হিসাবে প্রথম জয় পেলেন।
এমন অসামান্য ইনিংস উপহার দিয়ে রোহিত বললেন, "এখানে খেলতে সব সময়ই ভালো লাগে। ২০০৮ সালের স্মৃতি মনে পড়ছে। আমরা যত প্রশংসাই পাই না কেন, এখনও ক্রিকেট উপভোগ করি। পারথে নতুন করে শুরু করেছিলাম। এভাবেই দেখি। আমি জানি না আমরা আবার অস্ট্রেলিয়ায় আসব কিনা। কিন্তু এত বছর ধরে এখানে খেলেছি এটা অনেক মজার। ধন্যবাদ, অস্ট্রেলিয়া।"
উল্লেখ্য, তরুণ রোহিত শর্মা ২০০৮ সালে সিবি সিরিজে এই মাঠেই প্রথম হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন রোহিত শর্মা। সেদিন তাঁর সংগ্রহ ছিল ৮৭ বলে ৬৬ রান। তখন তিনি নামতেন মিডল অর্ডারে। ১০০ রানের আগেই যখন ৩ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত, তখন শচীন তেণ্ডুলকরের জুটিতে তোলেন ১২৩ রান। লিটল মাস্টার করেছিলেন ১১৭। ভারতও জয়ী হয় সেই ম্যাচে। সেই রোহিত কেরিয়ারের গোধূলিবেলায় এসে ম্যাচের সেরা তো বটেই, সিরিজের সেরাও হলেন।
