সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচটা ছিল নিতান্তই নিয়মরক্ষার। বড়জোর বাংলাদেশকে 'হোয়াইটওয়াশ' করার লক্ষ্য নিয়ে নামতে পারতেন সূর্যকুমাররা। কিন্তু হায়দরাবাদে তাঁরা মাঠ ছাড়লেন একের পর এক রেকর্ড গড়ে। প্রথমে ব্যাট করে ২৯৭ রানের পাহাড়প্রমাণ রান করার পর ম্যাচটা কার্যত ওখানেই শেষ হয়ে যায়। ভারত জেতে ১৩৩ রানে। আর সঞ্জু-সূর্যরা যে সব কীর্তি গড়লেন, তাও রীতিমতো ঈর্ষণীয়।
টি-টোয়েন্টিতে ভারতের সর্বোচ্চ রান: ২০ ওভারে সূর্যকুমাররা করেন ২৯৭ রান। যা ভারতের টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে টিম ইন্ডিয়া ২৬০ রান করেছিল।
টেস্ট খেলা দেশ হিসাবে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড: টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের কৃতিত্ব রয়েছে নেপালের। মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে তারা করেছিল ৩১৪ রান। কিন্তু টেস্ট খেলা দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করল ভারত। এর আগে আফগানিস্তান ২৭৮ রান করেছিল আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেই রেকর্ড ভেঙে গেল শনিবার।
টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দ্রুততম ২০০ রান: ১৪ ওভারের মধ্যেই ভারত ২০০ রান করে ফেলে। যা টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দ্রুততম ২০০ রান। এর আগে ১৩.৫ ওভারে ২০০-র গণ্ডী পেরিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ ওভারে ভারত করেছিল ১৫২ রান। দেশের ইতিহাসে সেটাও রেকর্ড।
চার-ছক্কার বিশ্বরেকর্ড: সঞ্জুর বিধ্বংসী সেঞ্চুরির সঙ্গে সূর্যকুমারের মারকুটে ব্যাটিং। তার পর হার্দিক-রিয়ানের ঝড়। চার-ছয় মিলিয়ে মোট ৪৭ বার বাউন্ডারির বাইরে যায় বল। তার মধ্যে আছে ২৫টি চার এবং ২২টি ছয়।
তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি সঞ্জু স্যামসনের: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি করলেন সঞ্জু স্যামসন। মাত্র ৪০ বলে শতরান করেন তিনি। তাঁর থেকেও দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছিলেন ভারতের রোহিত শর্মা ও দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার।
পাওয়ার প্লে-তে ভারতের সর্বোচ্চ রান: ৬ ওভারের মধ্যে ভারতের রান উঠে যায় ১ উইকেট হারিয়ে ৮২। যা ভারতের ইতিহাসে পাওয়ার প্লে-তে সর্বোচ্চ রান। এমনকী ৭.১ ওভারের মধ্যে ১০০-ও তুলে নেয় ভারত।
প্রথম ভারতীয় উইকেটকিপার হিসাবে সেঞ্চুরি সঞ্জু স্যামসনের: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৪৭ বলে ১১১ রান করেন সঞ্জু। ভারতীয় উইকেটকিপার হিসাবে প্রথম সেঞ্চুরি তাঁর। এছাড়া সঞ্জু-সূর্য ১৭৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। যা ভারতের ইতিহাসে কম কৃতিত্বের নয়।