স্টাফ রিপোর্টার: আইপিএলের সময় থেকেই চর্চাটা শুরু হয়েছিল। ঘণ্টায় দেড়শো কিমি পেসে টানা বোলিং করেছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন সেনসেশন বলা হচ্ছিল ময়ঙ্ক যাদবকে। কিন্তু আইপিএলে চমকপ্রদ উত্থানের পরও চোট-আঘাত সমস্যা ভোগাচ্ছিল ময়ঙ্ককে(Mayank Yadav)। চোট সারিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিরেছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রথম ম্যাচে তিনি কীরকম বোলিং করেন, সেটা দেখার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট মহল রীতিমতো উৎসাহিত ছিল। গোয়ালিয়রে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে ময়ঙ্ক যেরকম বোলিং করেন, সেটা শুধু ভারতীয় ক্রিকেটমহলকে মুগ্ধ করেনি, ওয়াঘার ওপার থেকেও প্রশংসা আসছে।
পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার কামরান আকমল যেমন এক ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ‘‘আইপিএলের সময় থেকেই ওকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। এই সিরিজে অন্যতম আকর্ষণ হল ময়ঙ্ক। আর অভিষেক ম্যাচে যেরকম বোলিং করল, সেটা সত্যি দুর্দান্ত।’’ আর ময়ঙ্ক? দেশের জার্সিতে প্রথম ম্যাচে নামার আগে তিনি যে নার্ভাস ছিলেন, সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন। ম্যাচের পর সম্প্রচারকারী চ্যানেলে ভারতীয় পেসার বলেন, ‘‘আমি প্রচণ্ড উত্তেজিত ছিলাম। একইসঙ্গে কিছুটা নার্ভাসও। চোট সারিয়ে এই সিরিজে ফিরেছি। ভারতীয় দলের হয়ে অভিষেকের আগে আমি তেমনও কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে খেলিনি। আইপিএলের পর এখানে সোজা নামি। তাই কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। চোটের পর রিকভারির সময়টা বেশ কঠিন ছিল।"
ভারতের নতুন সেনসেশনের কথায়, "গত চার মাসে অনেক কিছু ঘটেছে। উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। এই ম্যাচের নিজের শরীরের উপরও ফোকাস করেছি। যাতে নতুন করে কোনও সমস্যা না হয়। একইসঙ্গে ঠিক করে নিয়েছিলাম যে সঠিক লাইন-লেংথে বোলিং করতে হবে। বোলিংয়ের গতি নিয়ে খুব একটা ভাবিনি। লক্ষ্য ছিল যত সম্ভব কম রান দিতে হবে।’’অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও আস্থা রেখেছিলেন ময়ঙ্কের উপর। ময়ঙ্ক বোলিংয়ের সময় একটা ব্যাপার বুঝে যান গোয়ালিয়রের পিচে খুব বেশি বাউন্স নেই। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করেছিলেন। বলছিলেন, ‘‘আইপিএলে আমি বেশ কিছু স্লোয়ার বল করেছিলাম। তবে খুব বেশি নয়। অধিনায়কের সঙ্গে কথা হয়। আমাকে বলেছিল যে খুব বেশি বৈচিত্র্যের দরকার নেই। বরং নিজের ‘স্টক’ বলের উপর ভরসা রাখতে। গোয়ালিয়রের পিচে খুব বেশি বাউন্স ছিল না। সেই অনুযায়ী গতিতে হেরফের করি।’’
মাঠে নামার আগে কোচ গৌতম গম্ভীরও তাঁকে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামার কথা ভুলে যেতে বলেছিলেন। গম্ভীর বলে দিয়েছিলেন যে অভিষেক ম্যাচ খেলছেন, সেটা ভাবার কোনও দরকার নেই। ময়ঙ্ক বলেন, ‘‘গম্ভীর স্যর বলেছিলেন অতিরিক্ত কিছু করার কোনও প্রয়োজন নেই। বরং বেসিকটা ঠিক রাখতে। অতীতে যেটা করে সাফল্য পেয়েছি, সেটা করতে বলেন। সঙ্গে এটাও বলেন প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছি বলে বেশি ভাবনা-চিন্তা করে অতিরিক্ত কোনও কিছু করার দরকার নেই। শুধু প্রসেস মেনে বোলিং করতে।’’