সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধায়ক ও সাংসদদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল বিধায়ক (MLA) ও সাংসদদের (MP) বিরুদ্ধে মামলা তুলতে হলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাই কোর্টের (High Court) অনুমতি নিতেই হবে। কোনও রাজ্যের সরকার যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দলীয় প্রতিনিধিকে বাঁচানোর চেষ্টা না করতে পারে সেইদিকে লক্ষ্য রেখেই এই পদক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট।
রাজনীতিতে অপরাধ-যোগ কমাতে তৎপর সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবারই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কাউকে ভোটপ্রার্থী করলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই দলকে জানাতে হবে তাঁর কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড (Criminal records) আছে কিনা। এরই পাশাপাশি বিধায়ক ও সাংসদদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশও দেওয়া হল এদিন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, কেউ প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অথবা মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার ২ সপ্তাহ আগেই এই সংক্রান্ত বিশদ বিবরণ জানিয়ে দিতে হবে। এবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, প্রার্থী মনোনয়নের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সব জানাতে হবে।
যে সব দল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও প্রার্থীদের ক্রিমিনাল রেকর্ড সংক্রান্ত তথ্য চেপে যাওয়ার চেষ্টা করছে তাদের দলীয় প্রতীক কেড়ে নেওয়া হোক। অভিযোগ উঠেছে, শীর্ষ আদালতের রায়কে অমান্য করছে বহু দল। এই মর্মে একটি পিটিশন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই পিটিশনের শুনানিতেই এদিন সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ দিল।
পাশাপাশি বিচারপতি আরএফ নরিম্যান ও বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চের নির্দেশ, সমস্ত রাজনৈতিক দলকেই ব্যাখ্যা করতে হবে কেন তারা ফৌজদারি মামলায় জড়িত ব্যক্তিদের তারা প্রার্থী করছে। সেই সঙ্গে সেই সমস্ত মামলার বিবরণ দলীয় ওয়েবসাইটে তুলে দিতে হবে। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিতে হবে তাঁদের প্রার্থী করার পিছনে কী কারণ রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের অপরাধ-সংযোগের বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছে সিপিএম ও এনসিপি। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আরও নতুন মাত্রা নিয়েছে।