সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগে ছিল রুটি-তরকারি, মিষ্টি। তবে গত কয়েক বছরে ভোটের মেনুতে বদলে গিয়েছে ট্রেন্ড। তৃণমূল, সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস এমনকি নির্দলের দুপুরের মেনুতে এখন বিরিয়ানি। কারও কারও রাতে আবার রুটি-চিকেনও। পাড়া থেকে গ্রাম, শহরের সব জায়গার মাংসের দোকানের সামনেই লম্বা লাইন। তবে দাম এবার নাগালের মধ্যেই। বরং গত কয়েকদিনের তুলনায় সামান্য হলেও কমেছে। শুক্রবার কাটা মুরগি কলকাতার বাজারে বিকিয়েছে ২২০ টাকা প্রতি কেজিতে। জেলায় ২০০ টাকায়। আর গোটা ১৬০-১৮০।
দক্ষিণ ২৪ পরনগার খামারে এদিন মুরগি বিকিয়েছে ১১৫ টাকা প্রতি কেজিতে। শুধু রাজনৈতিক দলগুলোই নয়, পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষে অধিকাংশ অফিস-কাছারিই আজ বন্ধ। কাল আবার রবিবার। ফলে গেরস্তের হেঁশেলে মুরগির মাংস ঢুকবে সেটাই স্বাভাবিক। বাজারের মাংসের দোকানে শুক্রবার থেকেই যে কারণে দেখা গিয়েছে খদ্দেরের লম্বা লাইন। কেজি কেজি মুরগির মাংস যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।
[আরও পড়ুন: ভোটের সকালে রাস্তায় রাজ্যপাল, ‘শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে না’, গাড়ি আটকে অভিযোগ বিরোধীদের]
পোলট্রি শিল্প মহলের হিসাব, সাধারণত রাজ্যের মানুষের চাহিদা মেটাতে সপ্তাহে গড়ে সাড়ে তিন লক্ষ কেজির বেশি মুরগি লাগে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এক একটি মুরগির গড় ওজন কম-বেশি দুই থেকে আড়াই কেজি। তবে বৃহস্পতি ও শুক্রতেই প্রায় এক লক্ষ কেজির বেশি চাহিদা উঠেছে। বারুইপুর এলাকার এক তৃণমূল নেতার কথায়, কর্মীদের ‘প্রত্যাশা’ এখন বেড়েছে। ফলে দিন দুই আগে থেকেই মোটামুটি মাংসের জোগান দিতে হয়। রাতে রুটি-মাংস। আর ভোটের দিন মধ্যাহ্নভোজে তো বিরিয়ানি। আর এই বিরিয়ানি বানানোর বরাত পড়েছে স্থানীয় হোটেলগুলোর উপর।
শুক্রবার থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, সরকারি ভোটকর্মী থেকে পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনীর দিন-রাতের মেনুতেও মুরগির মাংস লাগছে। আবার ফল বেরনোর পর বিজয় উৎসব, পিকনিক তো আছেই! ভরা বর্ষাতেও শেষ পর্যন্ত মাংসের জোগানে যাতে কোনও ঘাটতি না হয়, তার প্রস্তুতি রয়েছে খামারগুলোতেও। ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য দীপ দে বলেন, ‘‘ভোটের সময় তো চাহিদা থাকেই। কারণ বেশিরভাগ জায়গাতেই মেনু বিরিয়ানি। তাই চিকেনের চাহিদা তুঙ্গে। তবে দাম গত কয়েকদিনের তুলনায় কমেছে।’’