অর্ণব দাস, বারাসত: ফের রাতের শহরে বোমাবাজি (Bomb)। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে চলল বোমাবাজি। সেই সময় কার্যালয়ে উপস্থিত ছলিনে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রাক্তন পুরপিতা তথা বর্তমান ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর। বোমার আঘাতে কেউ জখম না হলেও শনিবার রাতের এই ঘটনায় সোদপুর (Sodepur) এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটাল তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে।
শনিবার রাত তখন পৌনে দশটা। রোজকার মতোই পানিহাটির বিবিবাগানের দলীয় কার্যালয়ে অনুগামীদের সঙ্গে বসেছিলেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর জয়ন্ত দাস। রোজকার মতোই সারছিলেন আলোচনা। ঠিক সেই সময় দুটি বাইকে চেপে জনা ছয়েক দুষ্কৃতী হানা দেয়। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে চলে বোমাবাজি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পর পর ৫টি বোমা ছোঁড়া হয়। তার পর বাইকে চেপেই চম্পট দেয় তারা। তবে বোমাবাজির জেরে কেউ জখম হননি।
[আরও পড়ুন: ভর সন্ধেবেলা শুটআউট পুরুলিয়ায়, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা ভরতি হাসপাতালে]
এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে খড়দহ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভি ফুটেজ। ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল কর্মী দীপঙ্কর দাসের অভিযোগ, “পরিকল্পনামাফিক প্রাক্তন পুরপিতাকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। কারণ, প্রতিদিন এই সময় দলীয় কার্যালয়ে তিনি হাজির থাকেন, এটা সবাই জানে। কিন্তু কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল তা বলা যাচ্ছে না।” তিনি আরও জানান, এর আগেও দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে বোমাবাজি হয়েছে। তবে শনিবারের ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা এখনও স্পষ্ট করতে পারেনি পুলিশ।
[আরও পড়ুন: কুসংস্কার! রাতভর ঝাড়ফুঁকের পর বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু সাপের ছোবল খাওয়া ব্যক্তি]
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে কামারহাটি এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এবার পানিহাটি এলাকায় তৃণমূল কার্যালয় লক্ষ্য করে চলল বোমাবাজি। স্বাভাবিকভাবেই এ ধরনের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।