সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোল-চাউমিন জাতীয় ফাস্টফুডকে বিদায় দিয়ে আজকাল অনেকেই কামড় বসান পিজ্জাতেই৷ কিন্তু যত নামী দোকানই হোক না কেন, পিজ্জার কামড়েও কিন্তু ওঁত পেতে আছে মারণরোগ৷ খাবার জায়গা থেকে খাবার যতই ‘হাইজেনিক’ বলে দাবি করা হোক না কেন, সর্ষের ভিতরেই লুকিয়ে ভূত৷ অর্থাৎ পিৎজার জন্য ব্যবহৃত রেডিমেড রুটিতেই আছে মারণরোগের সম্ভাবনা৷
‘সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’-এর উদ্যোগে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এ তথ্য৷ দিল্লি থেকে সংগৃহীত বেশিরভাগ বেকারি প্রোডাক্টের ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য৷ এর নেপথ্যে আছে পটাসিয়ামজাত রাসায়নিক পদার্থ৷ পাঁউরুটি থেকে বেকারির বিস্কুটে থাকে পটাসিয়াম ব্রোমেট এবং পটাসিয়াম আয়োডেট৷ ‘ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার’ ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, পটাসিয়াম ব্রোমেটে ক্যানসারের সম্ভাবনা থাকে৷ পটাসিয়াম আয়োডেটে থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ ৮৪ শতাংশ বেকারির খাবারেই এই রাসায়নিক থাকে এবং যা থেকে বাড়তে পারে ক্যানসারের সম্ভাবনা৷ ডায়রিয়া, বমির প্রবণতা, কিডনি বিকল হওয়া থেকে শুরু করে নানারকম শারীরিক ক্ষতি হতে পারে এই রাসায়নিকের প্রভাবে৷
ক্যানসারের সম্ভাবনা সত্ত্বেও কেন এই রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে বেকারির প্রোডাক্টে? ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া’ বেকারির প্রোডাক্টে পটাসিয়ামের ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে৷ তবে তা মাত্রা রেখে৷ প্রতি কেজিতে ৫০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম ব্যবহার করা যেতে পারে৷ কিছু কিছু খাবারের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ২০ মিলিগ্রাম৷ তবে সম্ভবত এই মাত্রা না মানার কারণেই বাড়ছে ক্যানসারের সম্ভাবনা৷ সেক্ষেত্রে বেকারির প্রোডাক্টের উপর আরও কড়া নজরদারি জারি না রাখলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে সামগ্রিক জনস্বাস্থ্যে৷
The post পিৎজায় কামড়েই ওঁত পেতে ক্যানসার? appeared first on Sangbad Pratidin.