সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারা বছর কাটে হাসপাতালে। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদ, আর প্রতি মুহূর্তের টেনশন। অসুখ, সংক্রমণ, সঙ্কট- শব্দগুলো মধ্যে সময় কাটানো। এর ফাঁকেই একটু সময় বের করে নেওয়া। একটু অন্যভাবে কাটাতে চাওয়া একটা দিন। ভিন্ন ভূমিকায় পাওয়া গেল বি.পি. পোদ্দার সংস্থার ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। নিজেরাই আয়োজন করেছিলেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের এই উদ্যোগের সঙ্গী হয়েছিলেন মেখলা দাশগুপ্ত ও রূপঙ্কর বাগচী। দুজনেই সঙ্গীত পরিবেশন করেন। শুরুতে নৃত্য পরিবেশন করেন সৌমিলী ও ট্রুপ। মন ছুঁয়ে যাওয়া এই অনুষ্ঠান ঘিরে আবেগের জোয়ারে ভাসে অডিটোরিয়াম। বছরের একটা দিন অন্যরকম অনুভূতি পেয়ে খুশি স্বাস্থ্যকর্মীরা।
[আরও পড়ুন: মানসিক অবসাদের জের! বাইপাসের ধারে আত্মঘাতী বৃদ্ধ]
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বি.পি. পোদ্দার হাসপাতালের পক্ষ থেকে নম্রতা ভট্টাচার্য বলেন, “স্বাস্থ্যকর্মীরা সারা বছরই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে কাজ করেন। এই অনুষ্ঠান সেই চাপ থেকে রেহাই দেয় তাঁদের। নিজেদের মেলে ধরার সুযোগও আনে। কর্মীদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তাই মুক্তির হাওয়ার মতোই। এর নেপথ্যে রয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রম। উল্লেখ করতে হবে আন্তরিকতার কথাও। ডাক্তারদের ধন্যবাদ প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দেওয়ার জন্য। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সমস্ত শিল্পীকেও ধন্যবাদ। আর দর্শকদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তাঁদের উৎসাহ ছাড়া এই অনুষ্ঠান সম্ভবই হতো না।”
প্রসঙ্গত, বি.পি. পোদ্দার এখন শহরের হাসপাতালদের মধ্যে অগ্রগণ্য। এই হাসপাতালের ৪ ইঞ্চি কেটে হার্ট বাইপাস হয়ে উঠেছে মুশকিল আসান। হাঁটুর চিকিৎসাতেও নিউআলিপুরের এই হাসপাতাল হয়ে উঠেছে পথিকৃৎ। গ্যাস্ট্রো, অঙ্কোলজিতে এখানের অত্যাধুনিক পরিকাঠামো সাড়া ফেলেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। প্রতিদিন তাই দূর-দূরান্ত থেকে এখানে আসেন রোগী। ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরেন নিশ্চিন্ত মনে। এমনকী, বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে এই হাসপাতালের নাম।