সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) ও রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে নয়া মাত্রা যোগ করলেন রাজ্যপাল (Governor Of West Bengal) সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। মধ্যরাতে সাসপেন্স আরও বাড়িয়ে দিলেন তিনি। জানা গিয়েছে ঘড়ির কাঁটা ছোয়ার আগেই নাকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও কেন্দ্র সরকারের (Central Government) কাছে চিঠি লিখেছেন তিনি। শোনা গিয়েছে মুখবন্ধ খামে গোপনীয় বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতে কী রয়েছে তার কোনও ইঙ্গিতও দেয়নি রাজভবন।
এদিন দুপুরে রাজ্যপাল হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, “মধ্যরাত পর্যন্ত দেখতে থাকুন কী করতে চলেছি।” তখন থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। কী পদক্ষেপ করতে চলেছেন সিভি আনন্দ বোস! পালটা কটাক্ষ শানিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীও। টুইটারে লিখেছিলেন, “সাবধান, সাবধান, সাবধান! শহরে নতুন রক্তচোষা (ভ্যাম্পায়ার) এসেছেন। নাগরিকরা নিজেদের খেয়াল রাখুন। হিন্দু পুরাণ মতে ‘রাক্ষস প্রহরে’র অপেক্ষায় থাকলাম।” কথার লড়াইয়ের মাঝেই নজিরবিহীন পদক্ষেপ করলেন রাজ্য়পাল।
[আরও পড়ুন: ‘সাবধান! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার’, রাজ্যপালের হুঁশিয়ারির পালটা কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর]
জগদীপ ধনকড়ের উত্তরসূরির সঙ্গে প্রথমদিকে সম্পর্কটা ভালই ছিল নবান্নের। রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। এমনকী. তাঁর বাংলা ভাষাশিক্ষারও দায়িত্ব নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে ততই তলানিতে ঠেকেছে রাজ্য-রাজভবনের সম্পর্ক। কখনও পঞ্চায়েত ভোটের সময় অশান্তি তো কখনও রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকযুদ্ধ চলেছে। এমনকী, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে পদচ্যুত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সিভি আনন্দ বোস। যদিও তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। এরপর উচ্চশিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। রাজ্যকে কার্যত অন্ধকারে রেখে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন ‘আচার্য’ সিভি আনন্দ বোস। উপাচার্যদের রাজ্যের কথা মানতে নিষেধ করেছেন তিনি। পালটা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্রাত্য বসুও। নাম না করে কখনও গোপাল ভাঁড়, কখনও রক্তচোষা বলে কটাক্ষ করেছেন। এবার সেই টানাপোড়েনে নতুন অধ্যায় যোগ হল।