সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমেই বাড়ছে ঘূর্ণিঝড় গাজার দাপট। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ঘরছাড়া অন্তত আড়াই লক্ষ। বিপর্যস্ত তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী বাসিন্দাদের জীবন। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সোমবার থিরুভারুর, থাঞ্জাভুর, পুদুকোট্টাই-সহ বেশ কয়েকটি এলাকার স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বদলে গিয়েছে আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার দিনক্ষণও।
শুক্রবার ভোরে তামিলনাড়ু উপকূলে আছড়ে পড়ে ‘গাজা’। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসে প্রবল ঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুদুকোট্টাই, তাঞ্জাভোর ও কাডালোর। ক্রমাগত ঝড় ও বৃষ্টির দাপটে তছনছ নাগাপট্টিনাম, তিরুভারুর এবং তাঞ্জাভোর৷ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এক লক্ষ ১৭ হাজারেরও বেশি ঘর-বাড়ি। গত বৃহস্পতিবার থেকে এলাকাগুলির বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা৷ জানা যাচ্ছে, ১৯৯৩ সালে কাবেরীর উপকূলবর্তী অঞ্চলে যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল, গাজার প্রকোপ তার চেয়েও বেশি ভয়ংকর।
[ফের উত্তপ্ত সবরীমালা, পুলিশি নির্দেশ না মানায় আটক ২৮]
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত তামিলনাড়ুর বাসিন্দাদের উদ্ধারকাজে ইতিমধ্যেই নেমেছে ভারতীয় নৌসেনা। উদ্ধারকাজের পাশাপাশি ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর জন্য চেতলাল ও চেরিয়াম নামে দু’টি জাহাজ নামানো হয়েছে। সাহায্য নেওয়া হয়েছে হেলিকপ্টারেরও। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৪৯৩ টি ত্রাণ শিবিরে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষকে স্থানান্তরিত করা সম্ভব হয়েছে। বিপর্যস্ত পরিস্থিতির কথা ভেবেই সোমবার থিরুভারুর, থাঞ্জাভুর, পুদুকোট্টাই, নাগাপাট্টানাম, ডিন্ডিগোলের স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি আন্না বিশ্ববিদ্যালয় ও তার অধীনত্ব কলেজগুলির পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ, সোমবারের পরিবর্তে পরীক্ষা হবে ১৫ ডিসেম্বর। এছাড়া পলিটেকনিক কলেজের পরীক্ষার দিন বদলে হয়েছে ২৬ নভেম্বর।
মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য এক লক্ষ টাকা করে এবং একটু কম আহতদের ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আহতদের চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
[অমৃতসর হামলার নেপথ্যে আইএসআই, রক্তাক্ত দিন ফেরাতে মরিয়া পাকিস্তান ]