সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ সীমান্তে দাঁড়িয়ে চিনা (China) ফৌজ। কাশ্মীরে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে পাকিস্তান। আফগানিস্তানের রাশ এখন তালিবানের হাতে। এই ত্রিমুখী চাপের মোকাবিলায় শক্তিবৃদ্ধি করছে ভারত। এবার দেশের সেনাবাহিনীর জন্য আরও ১৩ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কেনার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ‘ডিফেন্স একুইজিশন কাউন্সিল’ (ডিএসি)।
[আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নতুন করে দুটি বিমানঘাঁটি খুলেছে পাক বায়ুসেনা, শ্রীনগর থেকে দূরত্ব ১০০ কিমি]
বুধবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে বৈঠকে বসে ডিএসি। সেনাবাহিনীর জন্য হাতিয়ার কেনার বরাত খতিয়ে দেখে ছাড়পত্র দেওয়ার কাজ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই কাউন্সিলটি। এদিনের বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেনাবাহিনীর জন্য মোট ১৩ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার হাতিয়ার কেনার প্রস্তাবে সিলমোহর দেয় ডিএসি। সেই তালিকায় অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে গাইডেড রকেট পর্যন্ত রয়েছে। এই অস্ত্রগুলি হাতে পেলে একযোগে চিন ও পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে দুই ফ্রন্টে লড়াই শুরু হলে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে ভারত।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, অস্ত্রের মোট বরাতের ৮৭ শতাংশ দেশীয় নির্মাতাদের কাছ থেকে কেনা হবে। অর্থাৎ, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হতে প্রায় ১১ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার হাতিয়ার জোগান দেবে দেশীয় সংস্থাগুলি। জানা গিয়েছে, হাতিয়ারের তালিকায় রয়েছে ২৫টি ALH Mark III হেলিকপ্টার। স্থলসেনার জন্য পণ্য ও জওয়ানদের দ্রুত ময়দানে পৌঁছে দিতে এই চপার সক্ষম।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বায়ুসেনার হাত আরও মজবুত করে স্পেন থকে ৫৬টি মাঝারি পরিবহণ বিমান কেনার প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি। প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে বায়ুসেনার জন্য স্পেনের সিএএসএ সংস্থার তৈরি ৫৬টি সি-২৯৫ নামের সামরিক পরিবহণ বিমান কেনা হবে। চুক্তি হওয়ার ৪৮ মাসের মধ্যে ১৬টি বিমান স্পেন থেকে উড়িয়ে আনা হবে। আর ৪০টি বিমান তৈরি করা হবে ভারতে। চুক্তির ১০ বছরের মধ্যে সেগুলি দেশে তৈরি করবে টাটা কনসর্টিয়াম। এটাই প্রথম এমন একটি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে চুক্তি হল যেখানে সেনার জন্য পরিবহণ বিমান তৈরি হবে দেশের মাটিতে এবং তা তৈরি করবে একটি বেসরকারি সংস্থা। সবমিলিয়ে আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় ফৌজ।