সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচবছর পর মিলল বিচার। বিচার পেলেন তরুণী। পাঁচবছর আগে আটমাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে বেধড়ক মারধর করে গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট করে দিয়েছিল একই পরিবারের তিনজন। এতদিনে এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন মার্কিন নাগরিককে কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে শারন জোন্স (৪৭)-কে ১২ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছে মেয়ে সিসিলা ম্যাকডোনাল্ড (২৮)। ছেলে সেডরিক জোন্সের (২৯) কারাদণ্ডের মেয়াদ ৫ বছরের আদালত। এই ঘটনায় আরও একজনকে ১০ বছরে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের।
[গুপ্তধন-সহ সন্ধান মিলল বিশ্বের দীর্ঘতম গুহার, জানেন কোথায়?]
২০১৩ সালে বছর পনেরোর কিশোরীর উপরে নৃশংস হামলা চালায় সাজাপ্রাপ্তরা। আক্রান্ত কিশোরী তখন আটমাসের অন্তঃসত্ত্বা। অভিযোগ, কিশোরীকে প্রথমে বেধড়ক মারধর করে ওই তিনজন। তারপর মাটিতে ফেলে পেটে লাথি মারা চলতে থাকে। যতক্ষণ না পর্যন্ত গর্ভস্থ ভ্রূণটির মৃত্যু হয়। ৫ বছর আগে নৃশংস ঘটনাটি ঘটলেও জীবনহানির ভয়ে অভিযোগ জানানোর সাহস পাননি সেদিনের কিশোরী। শেষপর্যন্ত সাহসে ভর করে ২০১৫ সালে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৫ থেকে ১৮ টানা শুনানির পর অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণিত হয়। তারপরই প্রত্যেককে কারাদণ্ডের সাজা শোনায় আদালত।
এদিকে ২০১২ সালে অন্তঃসত্ত্বা বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে আক্রান্ত তরুণীর দাদা। ধৃতের নাম রবার্ট কায়াল্ড (২৪)। গতবছর শুনানি চলাকালীন ধৃতকে আদালতে হাজির করাতে পারেনি পুলিশ। তাই এই মামলাটির রায়দান মুলতবি রয়েছে।
[পাকিস্তানে উঠল ‘নো চিন, গো চিন’ স্লোগান]
The post ৫ বছর পর সন্তান খোয়ানোর বিচার পেলেন তরুণী! appeared first on Sangbad Pratidin.