shono
Advertisement

রবিনসন কাণ্ডের ছায়া! ফ্ল্যাটে ১৪ দিন ধরে পড়ে যুবতীর পচাগলা দেহ

আত্মহত্যা না খুন, জানতে মাকে জেরা। The post রবিনসন কাণ্ডের ছায়া! ফ্ল্যাটে ১৪ দিন ধরে পড়ে যুবতীর পচাগলা দেহ appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 09:30 PM Jan 06, 2020Updated: 09:44 PM Jan 06, 2020

অর্ণব আইচ: ১৪ দিন ধরে ঘরের বিছানার উপর পড়ে যুবতীর পচাগলা দেহ। নিউ আলিপুরের ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে তালা দেওয়া। ভিতরে যুবতীর মায়ের লেখা সুইসাইড নোট। মেয়ে গুডেন ধানানি ওরফে কবির পচাগলা দেহ ঘরের ভিতরে রেখে কাটিহারে চলে যাচ্ছিলেন মা নীলম ধানানি। হাওড়া স্টেশনে অসুস্থ বোধ করায় জিআরপি তাঁকে হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভরতি করে। যুবতীর মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য। তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে উঠেছে সন্দেহের তির। উঠে এসেছে বহু প্রশ্নও। এমনকী, যুবতী আত্মহত্যা করেছেন, না কি তাঁকে খুন করা হয়েছে, সেই প্রশ্নও উঠে এসেছে। এর উত্তর পেতে হাসপাতালে গিয়ে পুলিশ মাকে জেরা শুরু করেছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার শহরের বাসিন্দা বিজয় খাটনানি তাঁর বউদি নীলমের কাছ থেকে ফোন পান। নিউ আলিপুরের সাহাপুর কলোনির বাসিন্দা ৫২ বছর বয়সের ওই প্রৌঢ়া তাঁকে হাসপাতাল থেকে ফোন করে বলেন যে, তাঁর মেয়ে গুডেন গত ২৩ ডিসেম্বর আত্মহত্যা করেন। মেয়ের পচাগলা দেহ বাড়িতেই রয়েছে। তিনি মেয়ের ওই অবস্থা দেখে দেহটি ভিতরে রেখেই কাউকে কিছু না জানিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা লক করে বেরিয়ে পড়েন। তাঁরা কাটিহারের আদি বাসিন্দা। প্রৌঢ়ার মেয়ে গুডেন কাটিহার থেকেই বি কম পাস করেন।এর পর চাকরি করতেন ওই যুবতী। পরে চাকরি ছেড়ে দিয়ে টিউশন পড়াতেন। বিশ্বাস করতেন ধর্মনিরপেক্ষতায়। সেই কথা ফেসবুকের স্ট্যাটাসেও রয়েছে। নিউ আলিপুর থানার পুলিশ সাহাপুর কলোনিতে গিয়ে দেখতে পায়, বিছানায় পড়ে যুবতীর পচাগলা দেহ। তা থেকে মাছির লার্ভা বের হচ্ছে। পাশেই একটি সুইসাইড নোট। সম্ভবত তা মায়ের লেখা। সেখানে লেখা রয়েছে, “আমি ও আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে চলেছি।” আত্মহত্যার কয়েকটি কারণ সম্পর্কেও বলা রয়েছে। রান্নাঘরে একটি দড়ির ফাঁসও ঝুলতে দেখা যায়। কিন্তু এতে ফাঁস দিয়ে কেউ আত্মহত্যা করেছেন কি না, সেই বিষয়ে কেউ নিশ্চিত নয়। কোনও সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই এই রহস্যমৃত্যু বলে সন্দেহ পুলিশের।

[আরও পড়ুন : মিছিল-পালটা মিছিলে রণক্ষেত্র যাদবপুরের সুলেখা মোড়, ‘নির্বিচারে লাঠিচার্জ’ পুলিশের]

পুলিশের মতে, হয়তো দু’জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। মেয়ে আত্মহত্যা করার পরও মা তা করতে পারেননি। তাই ফঁাস রয়ে গিয়েছে। আবার ১৪ দিন ধরে রবিনসন স্ট্রিটের আদলে মেয়ের দেহ কি মা আগলে ছিলেন, সেই প্রশ্নও উঠে এসেছে। কিন্তু তার সঙ্গে উঠেছে অন্য প্রশ্নও। কোনও কারণে মেয়েকে বিষ প্রয়োগ করে খুন করার পর মা কি আত্মহত্যার গল্প সাজাচ্ছেন? সেই প্রশ্ন পুলিশ তুলেছে। তার কারণ, কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, গত দশদিন ধরে মাকে দেখা যায়নি। কয়েকজন জানিয়েছেন, গত ৩১ ডিসেম্বরও ফ্ল্যাটের দরজায় তালা দেওয়া ছিল। কয়েকজন একটু পচা গন্ধ পেয়েছিলেন। সেই ক্ষেত্রে এতদিন ধরে মা কোথায় ছিলেন, সেই প্রশ্ন উঠে এসেছেন। এদিন কেউ তাঁকে দেখেছিলেন কি না, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

The post রবিনসন কাণ্ডের ছায়া! ফ্ল্যাটে ১৪ দিন ধরে পড়ে যুবতীর পচাগলা দেহ appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement