সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) দাপট এখনও কমেনি। এই মহামারীতে এখনও সমানে মৃত্যু হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের। আক্রান্ত হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এর সঙ্গে দোসর হয়ে দাঁড়িয়েছে কালো ছত্রাক (Black Fungus) বা মিউকোরমাইকোসিস। প্রাণঘাতী এই ছত্রাক সামলাতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসকদের। এসবের মধ্যেই এবার নয়া আশঙ্কা আন্দামানে হদিশ মেলা নয়া ছত্রাক ঘিরে। যা কিনা আসলে একটি ‘সুপারবাগ’। ক্যান্ডিডা অরিস নামের ওই ছত্রাক এতটাই বিপজ্জনক যে গবেষকদের আশঙ্কা এই ছত্রাকটি মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়ানো শুরু করলে, মৃত্যু হতে পারে লক্ষ লক্ষ মানুষের। আর এটির ভয়াবহতা আরও বেশি, কারণ এই মুহূর্তে বাজারে চলতি প্রায় সব ওষুধেরই মোকাবিলা করতে পারে জীবাণুটি। মার্চ মাসে পুদুচেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশান স্টাডিজ এবং মেরিন বায়োলজির সঙ্গে যৌথভাবে দিল্লির বল্লভভাই প্যাটেল চেস্ট ইনস্টিটিউটের এক প্রতিনিধিদল আন্দামানে গিয়ে এই ছত্রাকটি নিয়ে গবেষণা করে।
২০০৯ সালে জাপানে প্রথম এই ক্যান্ডিডা অরিসের (Candida Auris) অস্তিত্বের সন্ধান মেলে। পরবর্তীকালে ব্রিটেন-সহ মোট ৪০টি দেশের সমুদ্রের তীরবর্তী অঞ্চলে বিশেষজ্ঞরা এই ছত্রাকের হদিশ পেয়েছেন। তবে, ভারতে এই ছত্রাকের সন্ধান মিলেছে খুব সম্প্রতি। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মোট ৮টি এলাকা থেকে ৪৮টি নমুনা সংগ্রহ করে এর খোঁজ মিলেছে। সাগরপাড়ের পাথুরে এলাকায়, লবণাক্ত জলাভূমিতে এই প্রাণঘাতী ছত্রাকের আধিক্য দেখা যায়। দিল্লির বল্লভভাই প্যাটেল চেস্ট ইনস্টিটিউটের গবেষকদের দাবি, যদি কোনওভাবে ভয়াবহ এই ছত্রাক মানুষের মধ্যে সংক্রমণ শুরু করে, তাহলে বছরে ১ কোটিরও বেশি মানুষের প্রাণ কাড়তে পারে।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে কেউ গ্রেপ্তার করতে পারবে না’, অ্যালোপ্যাথি বিতর্কের মধ্যেই চ্যালেঞ্জ রামদেবের]
কিন্তু কেন এত বিপজ্জনক এই ক্যান্ডিডা অরিস? গবেষকদের দাবি, এই ধরনের সুপারবাগগুলি তৈরি হয় হাসপাতালের পরিবেশে। এই ক্যান্ডিডা অরিস বাজার চলতি প্রায় সমস্ত ওষুধ প্রতিরোধী। তাই এর সংক্রমণ ঠেকানো এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে প্রায় অসম্ভব! দিল্লির ওই প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা জানাচ্ছেন, এটি আসলে এক ধরনের ছত্রাক। যা মূলত হাসপাতালের মধ্যেই ছড়ায়। ভারতে এই প্রথম এটি হাসপাতালের পরিবেশের বাইরে পাওয়া গেল। যা আগামী দিনে ভয়ংকর বিপদের ইঙ্গিত হতে পারে। যদিও অনেক গবেষকের মতে, এখনই আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। এখনও প্রাণীদেহের উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি এই প্রাণঘাতী ছত্রাক।