সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশ থেকে কালি আসছে না! আর তাই নয়া ২০০, ৫০০ টাকার নোট ছাপানোর কাজ বন্ধ। এমনটাই দাবি করছেন প্রেস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট জগদীশ গডসে। তাঁর কথায়, ‘যে কালিতে নয়া নোট ছাপা হয়, তা বিদেশ থেকে আসে। আচমকাই সেই কালি আসছে না। তাই নতুন নোট ছাপানো বন্ধ রয়েছে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, দেশ জুড়ে হঠাৎই নোটের আকাল দেখা দেওয়ার পিছনে এটাও একটা কারণ হতে পারে। নাসিক রোড এলাকার সরকারি ছাপাখানার সামনে দাঁড়িয়ে একথা বলেন তিনি। ওই ছাপাখানা থেকে ২০০০ টাকা ছাড়া অন্যান্য সমস্ত নতুন নোট ছাপা হয়। যদিও ঠিক কবে থেকে এই নোট ছাপানো বন্ধ হয়েছে, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
[সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে জানানো হয় পাকিস্তানকে, ব্রিটেনে মন্তব্য মোদির]
সাধারণত, রিজার্ভ ব্যাংকের কাছ থেকে নির্দেশ পেয়ে সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশনের ‘সিএনপি’ ইউনিট নোট ছাপতে শুরু করে। কিন্তু বর্তমানে সরকারি ছাপাখানাগুলি নতুন নোট ছাপছে না বলে জানিয়েছেন জগদীশ গডসে। সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশন সরাসরি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অধীনে পড়ে। সিএনপি এখন ১০ টাকার নোট ছাপাও বন্ধ রেখেছে, কারণ ওই নোটের নকশায় বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে চলেছে। নাসিকের ছাপাখানায় এখন ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নোট ছাপানোর কাজ চলছে।
এদিকে, দেশ জুড়ে নগদের ঘাটতি মেটাতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র আগামী মাসে ৭৫ হাজার কোটি টাকার নয়া নোট ছাপার নির্দেশ দিয়েছে। তবে পয়লা বৈশাখ, অক্ষয় তৃতীয়া কেটে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবারও দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে এটিএম থেকে মিলছে না নোট। ব্যতিক্রম এই রাজ্য। কলকাতায় পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক কিন্তু বেহাল দশা উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, কর্ণাটকের মতো রাজ্যে। শোনা যাচ্ছে, দিল্লিতেও নাকি বেশ কিছু এটিএম কাজ করছে না বা কাজ করলেও টাকা বেরোচ্ছে না। এই পরিস্থিতি নোট বাতিলের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে বলে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[নোট বাতিলের স্মৃতি উসকে এটিএমে বাড়ন্ত নগদ, তীব্র সমালোচনা মমতার]
এর মধ্যে কর্ণাটকে আবার সামনেই নির্বাচন। সেখানে নোটের ঘাটতি মেটাতে আসরে নেমেছে কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাংক। রাজ্য জুড়ে কারা কারা বাড়িতে অসাধু উপায়ে প্রচুর নোট জমিয়ে রেখেছেন, জানতে হানা দিচ্ছে আয়কর বিভাগ। যদিও এখন পর্যন্ত বিভাগের অফিসাররা এমন কিছুই বড় সংখ্যার নোট উদ্ধার করতে পারেননি। তবে কেন্দ্র মনে করছে, একাংশের ব্যবসায়ীরা ভোটের আগে অসাধু উপায়ে বাড়িতে প্রচুর ২০০০ টাকার নোট জমিয়ে রাখায় এটিএমে নোটের অভাব দেখা দিয়েছে। অন্ধ্র ও তেলেঙ্গানার রিয়াল এস্টেট ব্যবসায়ীদের একাংশও আয়কর বিভাগের নজরে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ, কালো টাকার কারবারিদের জন্যও নগদের জোগানে টান পড়তে পারে।
The post ‘বিদেশ থেকে কালি আসছে না বলে ২০০, ৫০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ’ appeared first on Sangbad Pratidin.