সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসপাতালে ভরতি থাকা অবস্থাতেও কেবল অক্সিজেনের (oxygen) অভাবে কোভিড (COVID-19) রোগীদের মৃত্যু আসলে গণহত্যা। এভাবেই উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) প্রশাসনকে ভর্ৎসনা করল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। আদালতের পরিষ্কার ব্যাখ্যা, এই ধরনের ঘটনা আইনত অপরাধ।লখনউ কিংবা মীরাটে অক্সিজেনের অভাবে কোভিড রোগীদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দিল্লির মতোই উত্তরপ্রদেশেও প্রকট অক্সিজেনের ঘাটতি। অথচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, এই অভিযোগগুলি একেবারেই ঠিক নয়। অক্সিজেন সরবরাহ তো বটেই, অন্যান্য ওষুধপত্র কিংবা হাসপাতালে বেডের অভাব নিয়ে যা শোনা যাচ্ছে তা ভিত্তিহীন। যদিও আসল ছবিটা যে তা নয়, তেমন অভিযোগ ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠেছে।
[আরও পড়ুন: করোনার জেরে স্থগিত চলতি মরশুমের IPL, ক্রিকেটারদের নিরাপদে ফেরানো হবে, জানালেন সৌরভ]
মঙ্গলবার এলাহাবাদ আদালতে দায়ের হওয়া এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিদ্ধার্থ ভার্মা ও বিচারপতি অজিত কুমারের বেঞ্চ রীতিমতো ভর্ৎসনা করে প্রশাসনকে। আদালত জানিয়ে দেয়, ‘‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি কীভাবে হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের অভাবে কোভিড রোগীদের মৃত্যু হয়েছে। এটা রীতিমতো আইনত অপরাধ এবং গণহত্যার থেকে কম কিছু নয়।’’ রীতিমতো ভর্ৎসনা করে বিচারপতিরা জানিয়েছেন, ‘‘কী করে আপনারা মানুষকে এভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দিতে পারেন, যেখানে বিজ্ঞান এত উন্নত হয়ে গিয়েছে? হৃদযন্ত্র কিংবা মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপনও কত অনায়াসে করা যাচ্ছে আজকাল।’’
আদালত পরিষ্কার করে দিয়েছে, সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কোনও খবরকে ভিত্তি করে এই ধরনের নির্দেশ দেওয়া হয় না। কিন্তু যেহেতু জনস্বার্থে দায়ের হওয়া এই মামলায় জড়িয়ে রয়েছেন রাজ্যের নামী আইনজীবীরাও এবং তাঁরাও এমন অভিযোগকে মেনে নিচ্ছেন সুতরাং একে হালকা ভাবে নেওয়ার কোনও অর্থ নেই। লখনউ ও মীরাটের জেলাশাসকদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এবিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে তাঁদের হাজিরা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।